mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয়
mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয়,বর্তমানে গর্ভপাত ঘটানোর ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়ার সাহায্যে নেওয়া হয়। একটি পিল বা ট্যাবলেট খাওয়ার প্রবণতা প্রায় চোখে পড়ার মতো। কিন্তু নতুন অবস্থায় অনেকেই বুঝতে পারে না কোন সময় এবং কিভাবে কোন পিল খেতে হয়। এক্ষেত্রে
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি হয়তো, আপনাদের কিছুটা উপকার করতে পারে। আজ আমরা এমন একটি কিট সম্পর্কে আলোচনা করব যা
গর্ভপাত করানোর প্রক্রিয়া সবসময় ব্যবহার হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এম এম কিট, কিভাবে খেতে হয় এসব সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয়
- mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয়
- এম এম কিট কি
- এম এম কিট এর উপকারিতা
- mm kit খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্লিডিং হয়
- এম এম কিট খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয়
- এম এম কিট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- mm kit খাওয়ার পর বেশি ব্রিডিং হলে করণীয়
- এম এম কিট খাওয়ার পর সাধারণত কতদিন রক্তপাত হয়
- mm kit খাওয়ার নিয়ম
- মন্তব্যঃ mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয়
mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয়
mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয় এম এম কিট সাধারণত গর্ভপাতের জন্য ব্যবহৃত একটি মেডিসিন কিট। যেখানে থাকে Mifepristone এবং Misoprostol নামে দুটি ওষুধ এই কিট সাধারণত গর্ভধারণের প্রথম সাত থেকে নয় সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। mm kit খাওয়ার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হতে সাধারণত এক থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। তবে এটি নির্ভর করে ব্যক্তির শরীর, গর্ভের সময়কাল এবং ব্যবহৃত ওষুধের সঠিক নিয়ম অনুসরণ করার ওপর।
আরো পড়ুনঃ ইউরিন ইনফেকশন দূর করা ১০ টি উপায়
- ঔষধ খাওয়ার পর সুস্থ হওয়ার সময় লাগেঃ রক্তপাত সাধারণত ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে কমে আসে। অধিকাংশ নারী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালো বোধ করেন। পুরোপুরি শারীরিকভাবে স্বাভাবিক হতে সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে।
- গর্ভপাতের লক্ষণ শুরু হয়ঃ Misoprostol খাওয়ার এক থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে পেট ব্যথা ও রক্তপাত শুরু হয়। গর্ভপাত সম্পূর্ণ হতে সাধারণত ১ থেকে ২ দিন লাগে।
- ঔষধ খাওয়ার প্রক্রিয়াঃ প্রথমে একটি Mifepristone খেতে হয়। এরপর ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা খেতে হয় চারটি Misoprostol একসাথে মুখে বা যোনিপথের মাধ্যমে। এটি খাওয়ার পর সুস্থ হতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
- সুস্থ হওয়ার লক্ষণগুলো হলোঃ রক্তপাত কমে যাওয়া বা বন্ধ হওয়া, ব্যথা না থাকা, দৈনন্দিন জীবনে ফিরে যাওয়া, পিরিয়ড আবার ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসে।
এম এম কিট কি
এম এম কিট হলো একটি ট্যাবলেট যা সাধারণ গর্ভপাত ঘটানো কিংবা অনিয়মিত
পিরিয়ড নিয়মিত করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গর্ভপাতের বিভিন্ন ওষুধের পাশাপাশি এই
এম এম কিট বাংলাদেশের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এই কিট ব্যবহারে অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। সোজা কথাই বলতে গেলে এম এম কীট হলো বাচ্চা নষ্ট
করার ট্যাবলেট। অপরিকল্পিত গর্ভধারণ ঠেকাতে এই ওষুধটি ব্যবহার হয়ে থাকে। আমাদের
মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বাচ্চা নিতে প্রস্তুত না।
তাই তারা মিলনের সময় প্রটেকশন হিসেবে কনডম কিংবা ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহার করে
থাকেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত কোন প্রটেকশন কাজ না করে তাহলে তারা গর্ভধারণ করে ফেলে।
তখন এম এম কিট ব্যবহার করা হয় গর্ভপাত করানোর ক্ষেত্রে। এম এম কিট এর সাধারণত
দুটো ওষুধ প্রধান ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি হলো Mifepristoneঅপরটি হল Misoprostol দুটো ট্যাবলেটি প্যাকেটের ভিতর প্যাকেজিং করার অবস্থায়
থাকে।
এম এম কিট এর উপকারিতা
গর্ভপাত করাতে চাইলে এর সঠিক নিয়ম জানতে হবে এবং গেটের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে
রাখা ভালো তবে এটি ব্যবহার করার পূর্বে সকলের উচিত এর উপকারিতা সম্পর্কে তথ্য
জেনে রাখা যেহেতু কর্মকার ঘটনার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয় সে তো চলুন
প্রেক্ষিতে আলোচনা করা যায়।
১.নিরাপদ উপাদানের ব্যবহারঃ এম এম কিটে থাকা দুটি ওষুধ প্রতিটি
উপাদানে নিরাপদ। জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি তৈরি এই দুটো ওষুধের
ব্যবহারিত প্রতিটি উপাদানই নিরাপদ সুতরাং আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে
পারেন।
২.দ্রুত কার্যকরঃ এমএম কিট দ্রুত কাজ করে। গর্ভধারণের নয় সপ্তাহের মধ্যে
এটি ব্যবহার করতে পারলে সমস্যা সমাধান পাওয়া যায়। তাছাড়া এটির কার্যকারিতা
মাত্র নয় সপ্তাহ বা ৬৩-৬৪ দিনের মতে। এরপর পরিস্থিতি নিশ্চিত হলে গর্ভাবস্থার বিষয়টি হসপিটালে গিয়ে অথবা ফার্মেসি থেকে প্রেগনেন্সি কিট কিনে
ঘরে বসে টেস্ট করতে পারবেন।
৩.ব্যবহার খুব সহজঃ কিট ব্যবহার অনেক সহজ। শুরুতে বড় ট্যাবলেট টি
যেকোনো ডাক্তারের সামনে সাধারণ ট্যাবলেটের মতে সেবন করবেন। এরপর পরবর্তী চারটি
ছোট ছোট ট্যাবলেট জিব্বা নিজে রেখে দিবেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি ব্যবহার
করো কতটুকু সহজ।
৪.অনিয়মিত মাসিকের ঔষধঃ এম এম কিট এক ধরনের অনিয়মিত মাসিকের ওষুধ। কোন
বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত মেয়ে যখন গর্ভধারণ করে তখন প্রথম লক্ষণ হলো অনিয়মিত
পিরিয়ড। এ অনিয়মিত পিরিয়ড কে নিয়মিত করতে এম এম কিট বা আরও নানা ধরনের
গর্ভপাতের ঔষধ আবির্ভূত হয়েছে।
mm kit খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্লিডিং হয়
mm kit খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্লিডিং হয় এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আসলে
এই এম এম কি সাধারণত ২ বার খেতে হয় দ্বিতীয়বার খাওয়া শেষ হলে ২৪ ঘন্টার
মধ্যে ব্লিডিং শুরু হয়। অনেকে ২৪ ঘন্টা লাগে না দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যেই
ব্রিডিং হতে পারে। আবার অনেকে ২৪ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে
ক্ষেত্রে অবশ্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত এ ধরনের সমস্যা হয়
যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে।
এই কিট খাওয়ার পরে ২৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় থাকে অর্থাৎ তিন দিন
পর্যন্ত যদি এর চেয়ে বেশি সময় লাগে তাহলে পুনরায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে। কিছু ক্ষেত্রে ৭ দিন পর্যন্ত সময় থাকে তবে সাত দিন পার হয়ে গেলে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার অর্থাৎ বেশি রক্তপাত হলেও ডাক্তার পরামর্শ নিতে
হবে। এই ওষুধ খাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে আলট্রাসোনোভাবে করে নিতে হবে
এবং নিশ্চিত হতে হবে গর্ভপাত হয়েছে নাকি যদি গর্ভপাত না হয় তাহলে অবশ্যই
আবারো ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে।
এম এম কিট খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয়
এম এম কিট খাওয়ার পর মাসিক না হওয়ার কারণ হচ্ছে সঠিক নিয়মে ওষুধটি সেবন না
করা। এম এম গেট খাওয়ার সময় অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
নিজে নিজে এই ঔষধ খাওয়া যাবেনা। এতে ক্ষতি হতে পারে বিশেষ করে মাসিক আর হয়
না। এই ওষুধটি খাওয়া হয় বাচ্চা নষ্ট করার জন্য। কিন্তু সমস্যাটি mm কিট
খাওয়ার পর অনেকের মাসিক হয় না এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অবশ্যই আপনি
নিয়ম মেনে খেতে হবে। এম এম কিট খাওয়ার পর কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। যদি
মাসিক না হয় সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত আপনি দেখতে পারেন। এম এম কিট খাওয়ার
নিয়ম ভুল হলে মাসিক হয় না। আর যদি এই নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া হয় তাহলে
মাসিক হবে।
তবে যদি না হয় তাহলে এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে তা হল, এম এম কিট যেদিন খাবেন
সেদিন থেকে মাসিক শুরুর ৩৬ দিন যদি বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কাজে দিবে না।
অনেকেই নিয়মটা মানে না যার কারণে সমস্যা হয়। তাই নিয়ম অনুযায়ী না খেলে বড়
ধরনের ক্ষতি হতে পারে। যদি সহবাস করার পর থেকে ৬৩ দিন পার হয়ে যায় এর মধ্যে
ভ্রমটা পরিপক হয়। রক্ত থেকে মাংস তৈরি হয়। যার কারণে ৬৩ দিন পার হয়ে গেলে এই
ট্যাবলেটের মাধ্যমে ভাঙ্গা যায় না। এজন্য এম এম কিট অনেক সময় ভ্রূণ নষ্ট করতে
পারে নাই এবং শিশুটি গর্ভে বড় হতে থাকে। অনেকে দুই থেকে তিন মাস মাসিক না
হওয়ার কারণে মনে করে বাচ্চা হয়ে গেছে আনুমানিক এম এম কিট খায় এর কারণে
পরবর্তী মাসে মাসিক হয় না।
এম এম কি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এম এম কিট একটু যদি নিয়ম অনুযায়ী না খান তাহলে অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সম্মুখীন হতে হবে। তাই এম এম কিট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক। এই ঔষধ খাওয়ার পর গর্ভপাত হলে গর্ভবতী হওয়ার ঝুঁকি
আরো বেশি থাকে। তাই কমপক্ষে ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সন্তান নেওয়া যাবে
না। কেননা এতে শরীর ক্ষতি হতে পারে। যদি দুগ্ধ দানকারী মা হন সে ক্ষেত্রে
অবশ্যই এম এম কিট খাওয়া যাবেনা। তবে খুব বেশি প্রয়োজন হলে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।
বাচ্চা দুধ খাওয়ার সময় যদি গর্ভধারণ হয় এতে অনেক অসুবিধা হতে পারে। তবে
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে কিট ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে
কমপক্ষে ৫ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো যাবে না। mm kit খাওয়ার কতদিন পর
সুস্থ হয় পাঁচ ঘন্টা পরে দুধ দিতে পারেন। যদি প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়ে
থাকে তাহলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনের ডিএমসি করাতে
হবে। এম এম কিট খাওয়ার পর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমনঃ
- বমি বমি ভাব
- মাথাব্যথা
- ডায়রিয়া
- তীব্র পেটে ব্যথা
mm kit খাওয়ার পর বেশি ব্রিডিং হলে করণীয়
অনেক সময় এম এম কিট খাওয়ার ৭দিন পার হয়ে গেল ব্রিডিং হতেই থাকে। তখন মনে
করতে হবে হয়তো এর ভেতরের কিছু আছে। এটা সাধারণত হয়ে থাকে যাদের ৪৫ দিন
পর্যন্ত বাচ্চার বয়স হয়ে গেছে তাদের। সাধারণ ব্লিডিং হতেই থাকে
এজন্য আপনি কিছু গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে কিছু ওষুধ খেতে পারেন। প্রথমত
আপনাকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল ২১ দিন পর্যন্ত খেতে হবে। এতে যদি আপনার রক্তপাত
বন্ধ হয় তারপর নিয়মিত ভাবে প্রতিদিন খেতে হবে এর পাশাপাশি একটি
অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স কমপ্লিট করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা
জ্যামিক ৫০০ এমজি ক্যাপসুল সকালেও রাত্রে একটি করে ট্যাবলেট খাবেন। এই
এন্টিবায়োটিক দিয়ে একটানা সাত দিন খেতে থাকুন তার পাশাপাশি
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হবে। বিশেষ করে ওমিপ্রাজল গ্যাসের ওষুধ খাবেন আশা
করি বিডিং বন্ধ হয়ে যাবে। এরপরেও যদি ব্লিডিং বন্ধ না হয় তাহলে
একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন তিনি আলট্রাসনো করে দেখবেন যে ভিতরে
কি কিছু আছে কিনা। যদি অল্প পরিমাণ থাকে তাহলে সাধারণত ওষুধ লিখে দিবে। এতে
যদি কাজ না হয় তাহলে এমআরআই করা লাগতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই এতে
আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।
mm kit খাওয়ার পর সাধারণত কতদিন রক্তপাত হয়
সাধারণত এই কিট গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে এটা খাওয়ার
পরে যদি গর্ভের বাচ্চার সম্পূর্ণরূপে নষ্ট না হয় তাহলে অনেকদিন যাবত পেটে
ব্যথা বা ব্লিডিং হতে পারে আবার বাচ্চা নষ্টের কারণে হরমোনের পরিবর্তন হয় এর
ফলে পেটে ব্যথা বিল্ডিং হতে পারে। আবার অনেকেই বাচ্চা নষ্ট করার পর দেখা যায়
বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের কারণে বিড়িং হয়ে থাকে এবং সে ক্ষেত্রে তলপেট ব্যথা
করতে পারে। যদি কোন কারন জ্বর ঠান্ডা সর্দি লেগে যায় অথবা প্রচুর পরিমাণ
সাদা স্রাব থাকে।
সেক্ষেত্রের তলপেটে ব্যথা অনুভব হতে পারে। এম এম কিট খাওয়ার পর সাধারণত সাত
দিন রক্তপাত হয়। ৭ দিনের বেশি বিল্ডিং হলে তার পাশাপাশি তলপের ব্যথা
করে সে ক্ষেত্রে ডাক্তার অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে
হাসপাতালে নিতে হবে। যদি গর্ভপাত হওয়ার অসম্পন্ন হয়ে থাকে এজন্য
চিকিৎসার একটা আলট্রাসনোগ্রা করবে। সেক্ষেত্রে তারা ডিএমসি করতে পারে। তবে এম
এম কিট যাওয়ার পর সাত দিন রক্তপাত হয়ে থাকে। এটি স্বাভাবিক ভয়ের কিছু
নেই।
- রক্তপাত হওয়ার সময়কালঃ ১ এক থেকে ৩ দিন ভারী রক্তপাত হতে পারে। যা মাসিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে হয়। এ সময়ে গর্ভের টিস্যু বের হতে পারে।
- পরবর্তী দিনঃ ৪ থেকে ৭ দিন রক্তপাত হ্রাস পেতে শুরু করে এটি সাধারণত মাসিকের মতো হতে পারে।
- শেষের দিনঃ ৭-১৪ দিন হালকা রক্তপাত বা দাগ পড়ার মতো হতে পারে।
যদি রক্তপাত ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা অস্বাভাবিক হয় তবে অতি দ্রুত
ডাক্তার কে জানানো প্রয়োজন।
mm kit খাওয়ার নিয়ম
ইতিমধ্যে নিশ্চয় জানতে পেরেছেন এম এম কিট মাসিক নিয়ন্ত্রণ করতে এবং গর্ভপাত
করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। এম এম কিট এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা যাক। এম এম কিটের একটি প্যাকেটে আপনি পাঁচটি ট্যাবলেট পাবেন। এই
পাঁচটি ট্যাবলেট থাকা প্যাকেট আপনি বড় ২০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট পাবেন। যা সেই
প্যাকেটে সবচেয়ে বড় ট্যাবলেট এটির গায়ে নাম লেখা থাকবে। ট্যাবলেটটির নাম
হল Mifepristone আর বাকি যে ছোট ছোট ট্যাবলেট চারটি থাকবে এই ট্যাবলেট গুলোর
নাম Misoprostol. এম এম কিট খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয় মনে রাখবেন এম এম কিট নয়
সপ্তাহের সময় পর্যন্ত গর্ভপাত ঘটানোর ক্ষেত্রে কাজ করে অর্থাৎ আপনার শরীরে
এই কীট নয় সপ্তাহ বা ৬৩ দিনের গর্ভ রোধে কাজ করবে। এরপর এর কার্যকারিতা
হারিয়ে যাবে।
- প্রথম দিনঃ ডাক্তারের সামনে বসে এই ট্যাবলেট টি খেতে হয়। যদি আপনি নিজে ফার্মেসি থেকে কিনে খেতে চান তাহলে অবশ্যই নিজের দায়িত্বে প্যাকেটের ভিতরে থাকা কাগজের এম এম গিট খাওয়ার নিয়ম ভালো করে পড়ে নিবেন। বড় ট্যাবলেট খাওয়ার পর যত বেশি সম্ভব পানি খেতে হবে।
- দ্বিতীয় দিনঃ বাড়িতে এসে দ্বিতীয় দিন Misoprostol নামক চারটি ছোট বড়ি দুই গালে দুই পাশে চুইংগামের এর মত গুঁজে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে অবশিষ্ট অংশসহ গিলে খেতে হবে।
মন্তব্যঃ mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয়
mm kit খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয়, এম এম কিট একটি জরুরী ঔষধ যা কিছু ভুলের কারণে যে সমস্যা হয় তার সমাধানের জন্য
এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকে এম এম কিট খাওয়ার পর পেটে ব্যথার, মাথা ঘুরা
প্রচুর পরিমাণ রক্ত প্রবাহিত এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েও সচেতন হতে হবে আমরা উপরে আলোচনা করে এসেছি এম এম কিট খাওয়ার কতদিন পর সুস্থ হয় ।
এম এম কিট খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলে আপনি উপকৃত হবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ
ধরনের আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। আপনি চাইলে
আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 250510
protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url