ইকোস্পিন ৭৫ এর উপকপরিতা ও অপকারিতা

ইকোস্পিন ৭৫ এর উপকপরিতা ও অপকারিতা, ইকোস্পিন ৭৫ হলো একটি এসপিরিন ভিত্তিক ঔষধ যা সাধারণত রক্তপাতলা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ইকোস্পিন ৭৫ রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে।

ইকোস্পিন-৭৫-এর-উপকপরিতা-ও-অপকারিতা
যাদের হার্ট অ্যাটাক বা ষ্টোকের ঝুঁকি বেশি তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। আমরা আজকে জানবো, এটি খেলে আমাদের মানবদেহের কি কি উপকার এবং অপকারিতা হয় তা সম্পর্কে। দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ ইকোস্পিন ৭৫ এর উপকপরিতা ও অপকারিতা

ইকোস্পিন ৭৫ এর উপকপরিতা ও অপকারিতা

ইকোস্পিন ৭৫ এর উপকপরিতা ও অপকারিতা, ইকোস্পিন ৭৫ এমন একটি ঔষধ যা ডক্টরে পরামর্শ ছাড়া কখনোই ব্যবহার করা যাবে না। জনপ্রিয় ঔষধ হলো ইকোস্পিন ৭৫ অ্যাসিটিল নামক এসিড উপাদান নিয়ে গঠিত। এটি মূলত একটি এন্টি প্লেটলেট ঔষধ, যা রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এর কিছু প্রদহ বিরোধী এবং জ্বর নাশক গুনও রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ইউরিন ইনফেকশন দূর করা ১০ টি উপায়

  • উপকারিতাঃ রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ, হৃদরোগ ও স্টক প্রতিরোধে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার করা হয়। এটি রক্তে প্লেটলেট গুলোকে একত্রিত হতে বাধা দেয়, যা রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।যাদের হার্ট এটাক এবং স্টকের ঝুঁকি বেশি, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। যেমন, উচ্চ রক্তচাপ, ডাইবেটিকস, উজ্জ্বল কোলেস্টেরল, পূর্বে হার্ট অ্যাটাক।
  • অপকারিতাঃ রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি, এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। ইকোস্পিন রক্তকে পাতলা করে বলে শরীরে যে কোন স্থান থেকে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেমন, পেটে রক্তপাত, বুকে জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, নাক দিয়ে রক্তপাত, কাঁটা স্থানের সহজে রক্ত বন্ধ হয় না, মল কালো বা আলকাতরার মত হওয়া।

ইকোস্পিন ৭৫ এটি কোন শ্রেণীর ঔষধ

ইকোস্পিন ৭৫ হল একটি অ্যান্টি প্লেটলেট ঔষধ। এর প্রধান উপাদান হল অ্যাসিটিল এসিড যা সাধারণত অ্যাসপিরিন নামে পরিচিত। যদিও নন স্টোরয়েডাল ড্রাগ শ্রীনির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইকোস্পিন ৭৫ এটি কম মার্কায় ব্যবহৃত হয। এবং এর প্রধান কাজ হল রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করা। কিছু শ্রেণির কথা উল্লেখ করা হলোঃ

  • প্রথম শ্রেণিঃ ইকো স্পিন ৭৫ এর মূল কার্যকারিতা এবং যে কারণে এটি প্রধানত প্রেসক্রাইব করা হয়, তা হলো রক্তের প্লেট প্লেট গুলিকে একত্রিত হতে বাধা দেওয়া। রক্তে এই প্লেট গুলির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, যার ফলে রক্তনালির মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বা ক্ষতিকারক রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে। এই রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
  • দ্বিতীয় শ্রেণীঃ নন স্টোরয়েডাল যদিও ইকোস্পিন ৭৫এ অ্যাসিটিল এসিড কম মাত্রায় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু উচ্চমাত্রায় .৩০০ মিলিগ্রাম থেকে৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এই মাত্রায় এটি ব্যথা উপশমকারী জ্বর নাশক এবং প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী প্রদর্শন করে।

কোন রোগের চিকিৎসা এটি ব্যবহৃত হয়

ইকোস্পিন ৭৫ এটি মূলত রোগ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেখানে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি থাকে। কোন রোগের চিকিৎসায় ইকোস্পিন ৭৫ ব্যবহার করা হয় তাহলোঃ

  • হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধঃ প্রাথমিক প্রতিরোধ, যাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি তাদের ক্ষেত্রে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুভূতির হার্ট এটাক ক্ষতি রোদের ব্যবহার করা হতে পারে। যেমন যাদের ক্ষেত্রেহার্ট অ্যাটাক হতে পারে, উচ্চ রক্তচাপ, ডাইবেটিস ইত্যাদি।
  • সেকেন্ডারি প্রতিরোধঃ যাদের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের ভবিষ্যতে আরো হওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য এটি নিয়মিত ব্যবহার করা হয়।
  • অ্যানজাইনা বা বুকে ব্যথাঃ যাদের হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে নিয়মিত বুকে ব্যথা হয়, তাদের ক্ষেত্রে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাধা রোধ করতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে এটি ব্যবহার করা হয়।

ইকোস্পিন ৭৫ এটি কিভাবে ব্যথা উপশম্যের কাজ করে

যখন কোন আঘাত বা প্রদাহ হয়, তখন ব্যথার সংবেদনশীল করে তোলে, যা মস্তিষ্কে ব্যথার সংকেত পাঠায়। অ্যাসপিরিন এর উপাদান কমিয়ে দেয়, ফলে ব্যথার সংকেত কমে যায় এবং ব্যথা উপশম হয়। অ্যাসপিরিন এদের উৎপাদন দমন করে লালচে ভাব এবং ব্যথা যা প্রদাহের সাধারণ লক্ষণ তা কমাতে সাহায্য করে। জ্বর হলো মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে দ্বারা সৃষ্টির শরীরে তাপমাত্রার বৃদ্ধি।

ইকোস্পিন-৭৫-এর-উপকপরিতা-ও-অপকারিতাইকোস্পিন এই সংশ্লেষণ বন্ধ করে, শরীরে তাপমাত্রার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।সরাসরি ব্যথা উপশমের জন্য নির্দেশিত বা কার্যকর নয়। এর প্রধান ভূমিকা হল হৃদরোগ এবং স্টক প্রতিরোধের রক্তকে পাতলা করা। যদি কারো ব্যথার উপশমের জন্য ঔষধের প্রয়োজন হয় তবে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ উপযুক্ত মাত্রায় এবং ধরনের ব্যাথা নাশক ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।

ঘুমের সমস্যা সমাধানে এর কার্যকারিতা

সরাসরি ঘুমের সমস্যা সমাধান ইকোস্পিন ৭৫ কোন কার্যকারিতা নেই। ইকোস্পিন ৭৫ কোন ঘুমের ঔষধ নয়। এটি মস্তিষ্কের সেই অংশগুলোতে কাজ করে না যার ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে বা প্রশান্তি আনে। এটি ঘুমের ব্যাধি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় না। স্লিপ অ্যাপ নিয়া এর মতো কোনো ঘুমের সমস্যার জন্য ইকোস্পিন ৭৫ ব্যবহার করা হয় না। এই ধরনের সমস্যার জন্য নির্দিষ্ট ঘুমের ঔষধ রয়েছে, জীবনযাত্রা পরিবর্তন বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। ব্যথা বা প্রদাহ জনিত ঘুমের ব্যাঘাত, যদি কোন ব্যক্তির তীব্র ব্যথা বা প্রদয়ের কারণে ঘুম ব্যাহত হয় তাহলে উচ্চ মাত্রার ইকোস্পিন ৭৫ ব্যথা ও প্রদাহ কমিয়ে পরোক্ষভাবে ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।
কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘুম বা তন্দ্রা আসতে পারে, কিন্তু এই ক্ষেত্রে এটি তেমন প্রচলিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণের পর পেটের অসস্তি বা রক্তপাতের কারণে অস্বস্তি হতে পারে বা উল্টো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ইকোস্পিন ৭৫ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ। কিন্তু এর কার্যকারিতা ঘুমের সাথে সম্পর্কিত নয়। যদি আপনার ঘুমের সমস্যা থাকে, তবে এর জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসক আপনার শরীরে স্বাস্থ্য এবং আপনাকে চেকআপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন একটা ওষুধ আপনাকে দিবে আপনি সেটি সেবন করবেন।

গর্ভবতী ও স্তন দানকারী মহিলাদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার

গর্ভবতী ও স্তনদানকারী মহিলাদের ক্ষেত্রে ইকোস্পিন ৭৫ এর ব্যবহার অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এবং শুধুমাত্র চিকিৎসকের কঠোর তত্ত্বাবধানে হওয়া উচিত। এটি একটি সংবেদনশীল বিষয় কারণ এর ভুল ব্যবহারে মা ও শিশু দুজনের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে, এই ট্যাবলেট এর মত কম মাত্রার অ্যাসপিরিন, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। গর্ব অবস্থায় প্রথমদিকে উচ্চমাত্রার ব্যবহার গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বা ভ্রমণের জন্মগত ত্রুটির সাথে যুক্ত হতে পারে।

এই সময় কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ কম মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, তাদের ক্ষেত্রে কম মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে গর্ব অবস্থায় ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ থেকে শুরু করে এই গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে ভ্রনের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেখানে চিকিৎসকরা রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে কম মাত্রার এই ট্যাবলেট ব্যবহারে পরামর্শ দিতে পারেন। গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাসে এই ট্যাবের ব্যবহারের সাধারণত নিষিদ্ধ থাকে, বিশেষ করে শেষ কয়েক সপ্তাহ বা প্রসবের কাছাকাছি সময়ে।

কিডনি ও লিভারের সমস্যা যুক্ত রোগীদের জন্য সর্তকতা

কিডনি রক্তনালিতে রক্ত প্রবাহকে প্রবাহিত করতে পারে। এটি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক পদার্থের উপাদান কমিয়ে দেয়, যা কিডনিতে রক্তনালী প্রসারণ বা রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। এই উপাদান কমে গেলে কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে যা কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে বা বিদ্যমান কিডনি অবনতি ঘটাতে পারে। কিডনি সমস্যাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ইকোস্পিন ৭৫ এর ডোজ সমন্বয় করার প্রয়োজন হতে পারে। ইকোস্পিন ৭৫ এর উপকপরিতা ও অপকারিতা, কিডনি দুর্বল কার্যকারিতার কারণে ঔষধ শরীর থেকে সঠিকভাবে নিষ্পেষিত হতে না পারলে ওষুধের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঝুঁকি বাড়ায়। খুব কম ক্ষেত্রে তীব্র কিডনি ইনজুরি গটাতে পারে। বিশেষ করে যদি রোগী ডিহাইড্রেশন বা অন্য কোন কিডনি ক্ষতিকারক ঔষধ গ্রহণ করেন।

বেশিরভাগ ঔষধ লিভারের মেটাবলিজম ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে ঔষধ দীর্ঘ সময় ধরে রক্তে থাকতে পারে। যা ঔষুধের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং বিষাক্ততার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। লিভার রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক প্রোটিন তৈরি করে। যদি লিভারের গুরুতর সমস্যা থাকে তাহলে এই প্রোটিন গুলির উপাদান কমে যেতে পারে যা এমনিতেই রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। ইকোস্পিন ৭৫ আরো পাতলা করে রক্তপাতের জমি আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। গুরুতর লিভারের সমস্যাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ইকোস্পিন ৭৫ এর ডোজ সমন্বয় করার প্রয়োজন হতে পারে।

কখন ইকোস্পিন ৭৫ গ্রহণ বন্ধ করা উচিত

ইকোস্পিন ৭৫ এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হয়। তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে গ্রহণ বন্ধ করা উচিত বা সাময়িকভাবে স্থগিত করা উচিত। এই সিদ্ধান্তগুলো অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে, নিজে নিজে ঔষধ বন্ধ করা খুবই বিপদজনক হতে পারে। চলুন জেনে নেই নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে সম্পর্কেঃ

ইকোস্পিন-৭৫-এর-উপকপরিতা-ও-অপকারিতাগুরুতর রক্তপাতঃ যদি শরীরের কোন অংশ থেকে অস্বাভাবিক বা গুরুতর রক্তপাত হয় যেমন, পেটের রক্তপাত কালো বা আলকাতরার মতো। বমিতে রক্ত, গুরুতর পেট ব্যথা ,বুক জ্বালাপোড়া ,বদ হজম।শরীরের আরো অন্যস্থান থেকে রক্ত পড়া নাক থেকে অনিন্দ্রিত রক্তপাত, প্রসাবে রক্তপাত বা মহিলাদের পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত বা দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাত।

আসন্ন অস্ত্রপ্রচার বা দাঁতের চিকিৎসায়ঃ যেকোনো ধরনের বড় বা ছোট অস্ত্র পাচার এমনকি দাঁত তোলার মতো প্রতিক্রিয়াতে ও রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ অস্ত্র পাচারের থেকে সাত দিন আগে এই ট্যাবলেট সাময়িকভাবে বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ইকোস্পিন ৭৫

সরাসরি ভাবে ইকোস্পিন ৭৫ এর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোন উল্লেখযোগ্য যোগ্য বা প্রতিষ্ঠিত বা ইতিবাচক প্রভাব নেই। মানসিক রোগের চিকিৎসার ব্যবহৃত হয় না। তবে পরোক্ষভাবে কিছু বিরল ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব দেখা দিতে পারে ঃ

আরও পড়ুনঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা

  • পরোক্ষ বা নেতিবাচক প্রভাবঃ ইকোস্পিন ৭৫ এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন পেটে অস্বস্তি, রক্তপাত বা অন্য কোন শারীরিক জটিলতা, রোগের মধ্যে উদ্বেগ বা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের স্বাস্থ্য উদ্বেগ প্রবণতা আছে তাদের ক্ষেত্রে এটি মানসিক অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
  • ঘুমের ব্যাঘাতঃ যদিও ইকোস্পিন সরাসরি ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে না, তবে যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় তাহলে তার পরোক্ষভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের নেতিবাচক প্রভাব পেতে পারে কারণ ভালো ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

ঔষধের মিথস্ক্রিয়াঃ যদি ইকোস্পিন ৭৫ অন্য কোন মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে, তবে সেই ওষুধের কার্যকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে। যা রোগের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। তবে এমন মিথস্ক্রিয়া খুবই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে হয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ পরিবর্তন করা উচিত নয়। 

শেষ কথাঃ ইকোস্পিন ৭৫ এর উপকপরিতা ও অপকারিতা

ইকোস্পিন ৭৫ এর উপকপরিতা ও অপকারিতা,ইকোস্পিন ৭৫ ঔষধ যা অনেক রোগীর জীবন রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এর ব্যবহার কেবল তখনই করা উচিত যখন চিকিৎসকের দ্বারা এর উপকারিতা সম্ভাব্য ঝুঁকিতে ছাড়িয়ে যায়। এর ব্যবহার সর্বদা একজন যোগ্য চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে, সঠিক মাত্রা এবং নির্ধারিত সময়ের জন্য হওয়া উচিত। রোগীর স্বাস্থ্য ইতিহাস অন্যান্য ঔষধের ব্যবহার এবং সম্ভাব্যের কারণ গুলি বিবেচনা করার পরই চিকিৎসক এই ট্যাবলেট ব্যবহারে পরামর্শ দেন।

কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা গেলে আপনি তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন বা যোগাযোগ করবেন। আপনাদের যদি ইকোস্পিন ৭৫ সম্পর্কে ভালো ভাবেই জানতে চান তাহলে আমাদের দিকে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে আপনারা এই আর্টিকেলে ইকোস্পিন ৭৫ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এটি সেবন করার পর আপনার শরীরে কি ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে তা পুরোটাই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url