ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়
ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়,ককাটেল পাখি একটি অনেক জনপ্রিয় পাখি। আমরা অনেকেই হয়তো এ পাখি কে চিনি না কিন্তু এই পাখি দেখতে যেমন সুন্দর, এই পাখির জনপ্রিয়তা ও অনেক বেশি। ককাটেল পাখিটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এজন্য এ পাখিকে দেখতে অনেক
আকর্ষণীয় লাগে, আর সব থেকে এই, পাখির জনপ্রিয় দিক হচ্ছে এ পাখিকে যদি আপনি সঠিকভাবে পালন করেন তাহলে এই পাখি কথা বলতে পারে। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো ককাটেল পাখির নারী ও পুরুষ চেনা জাত সম্পর্কে এবং এর দাম কত ও চাহিদা সম্পর্কে।পেজ সূচিপত্রঃ ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়
- ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়
- ককাটেল পাখির পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা
- কখন ককাটেল ডিম পাড়ার জন্য প্রস্তুত হয়
- প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও পুষ্টি
- অতিরিক্ত ডিম পাড়া নিয়ন্ত্রণের উপায়
- ককাটেল বছরে কতবার ডিম দেয় এবং এর কারণ
- খাবার ও পুষ্টির বিস্তারিত তালিকা
- খাঁচা পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যবিধি
- ককাটেল পাখির দাম ও চাহিদা
- শেষ কথাঃ ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়
ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়
ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়, ককাটেল পাখি সঠিক পরিবেশ পুষ্টি এবং যত্নের মাধ্যমে বছরে তিন থেকে পাঁচবার পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। তবে এটি বেশ কিছু কারণে উপর নির্ভর করে থাকে যেমনঃ
আরো পড়ুনঃমোবাইল দিয়ে এআই ফটো এডিট করা ১৫ টি অ্যাপ
- পাখির বয়সঃ সাধারণত ১৫ মাস বা তার বেশি বয়সে ককাটেল পাখি প্রজননের জন্য উপযুক্ত হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রথম বছরে শেষ দিকেও ডিম দিতে শুরু করে।
- স্বাস্থ্যঃ সুস্থ এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণকারী পাখি বেশি ডিম দেয়।
- পরিবেশঃ প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিরাপদ স্থান সঠিক তাপমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ।
- পুরুষ ও মহিলা পাখির সম্পর্কঃ সুস্থ এবং ভালো সম্পর্কযুক্ত জোড়া বেশি ডিম দিয়ে থাকে।
- ডিমে তা দেওয়া ও বাচ্চা পালনঃ ডিম পাড়ার পর যদি ডিম গুলো ভালোভাবে তা দেওয়া হয় এবং বাচ্চাগুলো সঠিকভাবে বড় হয়। তাহলে মা পাখি ডিম পাড়ার জন্য প্রস্তুত হয়।
যদি আপনি ককাটেল পাখিকে বছরে একাধিকবার ডিম পাড়াতে চান তাহলে আপনাকে তাদের পুষ্টি বিশ্রাম এবং প্রজনন পরিবেশের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। পাখির স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে তাই ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।
ককাটেল পাখির পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা
ককাটেল পাখিটি অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় একটি ছোট আকারে টিয়া প্রজাতির পাখি। এদের
সুন্দর চেহারা বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব এবং কথা বলার বা শিস দেওয়ার ক্ষমতা তাদের
বিশ্বজুড়ে পোষা পাখি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে। ককাটেল পাখির
পরিস্থিতি এবং জনপ্রিয়তা সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
- পরিচিতিঃ ককাটেল পাখি সাধারণত ২৫ থেকে ৩৩ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। যার মধ্যে লেজের দৈর্ঘ্য একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে। এদের ওজন প্রায় ৭০ থেকে ১২০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এদের সবথেকে সৌন্দর্য হলো তাদের মাথায় থাকা একটি ঝুটি বা চূড়া। যা পাখির মেজাজ অনুযায়ীর উপর তা নিচে ওঠানামা করে।
- কালারঃ ককাটেল পাখির সব থেকে সাধারণ রং হলো ধূসর শরীর, সাদা ডানার দাগ এবং কমলা রঙ্গের গালের দাগ যুক্ত হলুদ মুখ।
- পুরুষ ও মহিলা পাখির পার্থক্যঃ ককাটেল পাখির কিছু রঙের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা ককাটেল কে সহজে আলাদা করা যায়। যেমন সাধারণ ধূসর ককাটেল পুরুষ প্রার্থীর মুখ ও ঝুটি বেশি হলুদ হয় এবং গালের কমলা দাগ উজ্জ্বল হয়, যখন স্ত্রী পাখির মুখে হলুদ পরিমান কম থাকে এবং গালের দাগ হালকা কমলা বা বাদামি হতে পারে।
-
জনপ্রিয়তাঃ কোকাটেল পাখির জনপ্রিয়তার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, এদের
বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব, আকারের সুবিধা, যত্নের সহজতা, শিক্ষানীয় ক্ষমতা,
দীর্ঘ জীবনকাল, মনোরঞ্জন।
কখন ককাটেল ডিম পাড়ার জন্য প্রস্তুত হয়
ককাটেল পাখির প্রজনন বা ডিম পাড়ার প্রস্তুতি বেশ কিছু বিষয় দ্বারা প্রভাবিত
হয়। যার মধ্যে পাখির বয়স স্বাস্থ্য পরিবেশ এবং সঙ্গী নির্বাচন অন্যতম। একটি
ককাটেল কখন ডিম পাড়ার জন্য সার্বিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হয় তা বোঝার জন্য
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি লক্ষ্যরাখা জরুরীঃ
- বয়সঃ ককাটেল বাকি সাধারণত ১৫ মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার ডিম পাড়ার জন্য শারীরিকভাবে পরিপক্ক হয়। কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে যদি অল্প বয়সে ডিম করার জন্য উৎসাহিত করা হয় তবে তারা বা ১০ থেকে ১২ মাস বয়সেও ডিম দিতে পারে।
- সঙ্গী নির্বাচন ও সম্পর্কঃ একটি ভালো ব্রিডিং জোড়ার মধ্যে বোঝা পড়া এবং সম্পর্ক থাকা জরুরি। পাখি যদি একে অপরকে পছন্দ করে এবং দূর ভাবে তবে তারা ডিম পাড়ার জন্য বেশি প্রস্তুত হবে। অনেক সময় পাখিরা নিজেরা সঙ্গী নির্বাচন করতে পছন্দ করে।
- আচরণগত পরিবর্তনঃ পুরুষ পাখি বেশি গান গাইতে পারে শিস দিতে পারে মাথা দোলাতে পারে এবং মহিলা পাখিকে খাবার খাইয়ে প্রজননের জন্য আহ্বান করতে পারে পুরুষ পাখি। মহিলা পাখির আচরণ মহিলা পাখি ব্রিডিং বক্সের ভিতরে প্রবেশ করা এবং সেখান থেকে বের হওয়া বক্সে বেশি সময় কাটানো এবং ডিম্বাশয় আশেপাশে ফুলে যাওয়া স্পষ্ট হয় ডিম পাড়ার প্রস্তুতি লক্ষণ হতে পারে।
প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও পুষ্টি
ককাটেল পাখির সফল প্রজনন এবং সুস্থ বাচ্চার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও সঠিক পোস্টটি
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুটি বিষয় নিশ্চিত না হলে প্রজনন সফল নাও হতে পারে, অথবা
পাখি ও বাচ্চার শাস্তি এর অবনতি করতে পারে। প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও
পুষ্টি সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশঃ একটি উপযুক্ত পরিবেশ ককাটেল কে নিরাপদ আরামদায়ক এবং প্রজননের জন্য উৎসাহিত করতে পারে।
- খাঁচার আকার ও অবস্থানঃ প্রজননকালীন সময়ে ককাটেল জোড়ার জন্য বড় খাঁচা অপরিহার্য। বড় খাঁচা পাখিদের উড়তে নড়াচড়া করতে এবং আরামদায়কভাবে ব্রিডিং বক্সের স্থান দিতে সাহায্য করে।
- অবস্থানঃ খাঁচাতেই বাড়ির একটি শান্ত এবং সুরক্ষিত স্থানে রাখা উচিত যেখানে সরাসরি রোদ লাগবেনা এমন একটি জায়গায় নির্বাচিত করুন যেখানে মানুষ ও অন্যান্য পোষা প্রাণী আনাগোনা কম থাকে যাতে করে পাখিরা বিরক্তবোধ না হয়।
- আলো ও তাপমাত্রাঃ সাধারণত কোকাটেল পাখি কে প্রজনন উপাদান এর জন্য দ্বীনের আলোর সময়কাল গুরুত্বপূর্ণ। থেকে ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা আলো এবং ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা অন্ধকার থাকা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত ডিম পাড়া নিয়ন্ত্রণের উপায়
ককাটেল পাখির অতিরিক্ত ডিম পাড়ার একটি সাধারণ সমস্যা যা পাখির স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর হতে পারে। ডিম পাড়ার ফলে মা পাখির শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দুর্বলতা
এবং ডিম আটকে যাওয়া সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই বাকি
সুস্থতা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ডিম পাড়া নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত
ডিম পাড়া জন্য ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয় নিচে নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ
গ্রহণ করা যেতে পারে তাহলোঃ
- দিনের আলোর সময়কাল নিয়ন্ত্রণঃ পাখিকে প্রজননের জন্য উৎসাহিত করে দিনের আলোয় কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা থাকার ফলে। অতিরিক্ত ডিম পাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য দিনের আলোর সময়ে কাল কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যদি ডিমের অতিরিক্ত মাত্রা কমে দিতে চান তাহলে দিনে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা আলো এবং ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা অন্ধকারে রাখতে হবে।
- খাদ্য এবং পুষ্টির পরিবর্তনঃ ক্যালসিয়াম সরবরাহ কমানো যদি ক্যালসিয়াম অপরিহার্য অতিরিক্ত ডিম পাড়া কমানোর জন্য সাময়িকভাবে ক্যালসিয়ামের অতিরিক্ত উৎস শরীরে নেওয়া যেতে পারে তবে এটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করা উচিত। প্রজনন কালে উচ্চ প্রোটিন ও চর্বিযুক্ত খাবার দেওয়া হয়। যার ফলে ডিম পড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য এই ধরনের খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন এবং প্রধানত শোষণ বা কম চর্বিযুক্ত মিশ্রণ খাবার দিন।
ককাটেল বছরে কতবার ডিম দেয় এবং এর কারণ
ককাটেল পাখি নির্দিষ্ট কিছু সত্যপূরণ হলে বছরে একাধিকবার ডিম দিতে পারে। সাধারণত
একটি সুস্থ এবং উপযুক্ত পরিবেশে থাকা ককাটেল বছরে তিন থেকে পাঁচবার পর্যন্ত ডিম
পারতে সক্ষম হয়। তবে এটি নির্ভর করে বেশ কিছু কারণ এর উপর যা নিচে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলোঃ
- ককাটেল বছরে কতবার ডিম দেয়ঃ ককাটেল স্বাভাবিক অবস্থায় তিন থেকে পাঁচটি পর্যায়ে ডিম দিয়ে থাকে। প্রতিটি পর্যায়ে সাধারণত চার থেকে সাতটি ডিম থাকে। প্রতিটি পর্যায়ে সম্পূর্ণ হতে এবং তা দেওয়া ও বাচ্চা বড় হতে দুই তিন মাস সময় লাগে। যদি সরিয়ে নেওয়া হয় তবে মা পাখি দ্রুত আবার ডিম করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
- ডিম সরিয়ে নেওয়াঃ যদি পাখি ডিম পাড়ার পর পরই বার তা দেওয়ার আগে ডিম গুলো সরিয়ে নেওয়া হয় তবে পাখি মনে করে যে তার ডিম নষ্ট হয়ে গেছে এবং নতুন নতুন করে ডিম করার চেষ্টা করে।
- শারীরিক স্পর্শঃ পাখির পিঠ লেজের গোড়া বা এসব এলাকায় অতিরিক্ত স্পর্শ বা আদর করলে তা তাদের প্রজনন আচরণকে উত্তেজিত করতে পারে। এই স্পর্শ গুলো পাখিদের কাছে প্রজননমূলক ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
খাবার ও পুষ্টির বিস্তারিত তালিকা
ককাটেল পাখি সুস্বাস্থ্য উজ্জ্বল পালক এবং সকল প্রজননের জন্য সুষমবৈচিত্র্যপূর্ণ
খাদ্য অত্যন্ত জরুরী। শুধুমাত্র বীজ খাওয়ানোর তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ এতে
প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অভাব হয়। নিচে ককাটেল
পাখির জন্য এটি বিস্তারিত খাবার ও উপস্থিত তালিকা দেয়া হলোঃ
- প্রধান খাবারঃ ককাটেল এর জন্য সবচেয়ে ভালো প্রধান খাবার হল উচ্চমানের বাণিজ্যিক পেলেটস। এগুলোতে পাখির প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান সুষম ভাবে বিদ্যমান থাকে। প্রতিদিন খাবারের প্রায় ৬০ থেকে ৮০ পার্সেন্ট পেলেটস খাওয়া উচিত।
- বীজ মিশ্রণঃ উচ্চমানের বীজ মিশ্রণ দেওয়া যেতে পারে, তবে এটি প্রধান খাবার না হয়ে সম্পূরক খাবার হিসেবে থাকা উচিত। যে ধরনের বীজ খাওয়াবেন যেমন সূর্যমুখীর বীজ, কুসুম ফুলের বীজ ইত্যাদি সম্মানিত মিশ্রণ বেছে নিন এইসব বীজ খাওয়াতে পারেন।
- তাজা ফল ও সবজিঃ প্রতিদিন পাখির খাদ্য তালিকায় কাঁচা শাকসবজি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ধরনের শাকসবজি খাওয়াবেন পালং শাক, ব্রকলি, ধনেপাতা, , পুদিনা পাতা, লেটুস পাতা, গাজর, মিষ্টি আলু, ক্যাপসিকাম, শসা, ভুট্টা ইত্যাদি।
খাঁচা পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যবিধি
ককাটেল পাখি সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু নিয়ে চেক করার জন্য খাঁচা পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন রাখার এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অপরিষ্কার খাঁচার রোগ জীবাণুর আতর ঘর হতে পারে যা পাখির অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর
কারণ হতে পারে। এজন্য পাখির খাঁচা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে
করে কোন ধরনের রোগ জীবাণু না সৃষ্টি হয় এজন্য সব সময় খাঁচা পরিস্কার করতে হবে
এবং রোগ জীবাণু নাশক ঔষধ স্প্রে করতে হবে। খাঁচা পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যবিধির
সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলোঃ
দৈনিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাঃ সাধারণত পাখিদের সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
রাখতে হয় কারণ তারা যে স্থানে থাকে সেই স্থানে তারা মল প্রয়োগ করে এবং সেখানে
থাকতে হয়।এজন্য পাখির খাঁচা নিয়মিত পরিষ্কার করা অভ্যাস হক তাছাড়া সে পাখির
খাঁচায় মল থেকে নানা ধরনের রোগ জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে এজন্য দৈনিক পরিষ্কার
পরিচ্ছন্নতা করা অত্যন্ত জরুরি।
খাবার ও জলের পাত্রঃ ককাটেল পাখি যে পাত্রে তাদের খাবার দেওয়া এবং জল দেওয়া হয়
সে পাত্র গুলো প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে এবং নতুন পানি দিতে হবে। এবং প্রতিদিন
আপনি যে পাত্রে খাবার দিবেন সে পাত্রটি ধুয়ে রোদে শুকিয়ে আবার খাবার দিবেন
তাহলে ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাবে।
ককাটেল পাখির দাম ও চাহিদা
ককাটির পাখি তার বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব শেখার ক্ষমতা এবং তুলনামূলকভাবে সহজ
পরিচর্যার কারণে বিশ্ব জুড়ে এবং বিশেষ করে বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পোষা
একটি পাখি। এর জনপ্রিয়তা সরাসরি এর চাহিদা এবং দামকে প্রবাহিত করে। ককাটেল পাখির
দাম সাধারণত তাদের রং এবং আকৃতির উপর নির্ভর করে।
আরো পড়ুনঃবাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান
রং বা মিউটেশনঃ ককাটেল পাখির বিভিন্ন ধরনের মিউটেশন রয়েছে, এবং তাদের দামে
তারতম্য হয় এই মিউটেশনগুলোর বিরলতা ও জনপ্রিয়তার উপর ভিত্তি করে। সাধারণত ধূসর
প্রকাটেল এগুলি সবচেয়ে সাধারণ এবং সাধারণ সবচেয়ে সস্তা বাংলাদেশে এদের দাম
প্রতি জোড়া সাধারণত ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। লুটিনো এ রঙের লাল
চোখ যোগ্য এই পাখিগুলো বেশ জনপ্রিয় এবং এদের দাম ধূসর ককাটেল পাখির চেয়েও বেশি
এদের প্রতি জোড়া প্রায় দু হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে
পারে।এলবিনো এই জাতের পাখিদের দাম সবথেকে ব্যয়বহুল এদের প্রতি জোড়া দাম পরে
৫০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে। যদি উন্নত মানের কোকাটেল হয়
তাহলে এই জোড়ার দাম আরো বেশি হতে পারে।
শেষ কথাঃ ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়
ককাটেল পাখি বছরে কতবার ডিম দেয়, ককাটেল পাখি তার মেহমানী ও স্বভাব বুদ্ধি এবং
প্রজনন ক্ষমতার জন্য পোষা পাখি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। একটি কোকাটেল পাখি বছরে
কতবার ডিম দেবে তা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর উপর নির্ভর করে যা এই আলোচনা
শুরু থেকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সংক্ষেপে এটি একটি গতিশীল
প্রক্রিয়া যা মানুষের যত্ন পরিবেশ এবং বাকি শারীরিক অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হয়।
উপযুক্ত পরিবেশ এবং ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আপনি আপনার সুস্থ
এবং সুখী রাখতে পারবেন।
আপনি যদি ককাটেল পার্টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের লেখা
আর্টিকেলে পুরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, ককাটেল পাখি কত বছর বয়সে এবং কতদিন
পর এবং কতবার ডিম দেয় এবং এর চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা সব আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা
করা হয়েছে। আপনি যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে এই সম্পর্কে
বিস্তারিত ধারণা পাবেন।250510
protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url