ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয়
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয় কি সেটি জানা খুব জরুরি বিষয়। মানুষ প্রতিদিন নানারকম ঔষধ সেবন করে থাকে। সব ধরনের ঔষধই মানুষের শরীরের জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। অনেক সময় নানারকম ঔষধ সেবন করলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
যেটি ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো সাইড ইফেক্ট। ঔষধ গুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণ হতে পারে আবার এটি মারাত্মক আকার ও ধারণ করতে পারে। আজকের আর্টিকেলে ঔষধ এর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে কি করবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। চলুন এ বিস্তারিত জেনে নিই।
পেজ সূচিপত্রঃ ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয়
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয়
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ঔষধ। রোগ নিরাময় কিংবা জীবন
যাপনের মান উন্নয়নের জন্য ঔষধ মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দৈনন্দিন
নানারকম অসুখ বাসা বাঁধে মানুষের শরীরে। এ অসুখ কখনো শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমের
উপর নির্ভর করে একাকী সেরে যায়। আবার কখনো ঔষধের সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু সব
ঔষধই কি শরীরের জন্য উপকারী। উত্তর হলো সব ঔষধ শরীরের জন্য উপকারী নাও হতে পারে।
বিভিন্ন ওষুধের নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো বেশি দেখা যায় তা হলোঃ
- পেট ব্যথা
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- ডায়রিয়া
- মাথা ব্যথা
- বমি বমি ভাব
শরীরের হরমোন ও ইমিউনিটি সিস্টেম ভেদাভেদে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন
হয়ে থাকে। ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয় কি সেটি জানা থাকলে যদি কোন
ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরের রক্ষা করেন তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
গ্রহণ করতে পারবেন। এতে আপনার মৃত্যু ঝুঁকি থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।
মৃত্যু ঝুঁকি ছাড়াও অনেক শারীরিক জটিলতা থেকেও নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। স্বাস্থ্য
সচেতন মানুষ হিসেবে অবশ্যই আমাদের জেনে থাকার দরকার ওষুধের পার্শ্ব প্রতিকরা হলে
আমরা কি করব। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হঠাৎ করে ওষুধ ছেড়ে দিতে যাবেন না এতে করে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। ঔষধ খাওয়ার সময় নির্দেশনা মেনে ঔষধ খাওয়া শুরু করবেন।
হঠাৎ ঔষধ বন্ধ না করা
যদি কোন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাহলে অনেকে ভাবেন যে ওষুধটি
সেবন করা বন্ধ করে দেওয়াই ভালো হবে বোধ হয়। কিন্তু আপনার ঔষধ সেবনের পর
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেই হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করবেন না আগে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিবেন। এর কারণ হলো কোন ঔষধ সেবন করা কালে যদি আপনি হঠাৎ সেটি বন্ধ করে
দেন তাহলে আপনার শরীরে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয় হতে পারে।
এন্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিস ও প্রেসারের ঔষধ সমূহ বন্ধ করে দেওয়াতে এই ধরনের
সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
কেননা এই ঔষধ সমূহ ধাপে ধাপে জীবাণুকে ধ্বংস করে। বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক
জাতীয় ঔষধ সমূহ। কাজেই আপনি যদি তখন ঔষধ সেবন বন্ধ করে দেন তাহলে এই
এন্টিবায়টিক গুলো আপনার শরীরে থাকা জীবাণু ধ্বংসের কাজে ব্যাহত হবে। আবার
প্রেসারের ঔষধ খেতে খেতে বন্ধ করে দিলে আপনার স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাহত হতে
পারে। যার ফলে আপনি স্ট্রোক করতে পারেন। কাজেই ঔষধ বন্ধ করার আগে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শের মাধ্যমে ঔষধ পরিবর্তন করে নিন।
চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন
ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেই নিজে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে চিকিৎসকের
সাথে যোগাযোগ করুন। কেননা চিকিৎসকগণ অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন। তারা আপনাকে সঠিক
সিদ্ধান্ত এবং পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন। কেননা চিকিৎসকগণ শুধু রোগ
নির্ণয় করেন না। তারা এটাও জানেন কোন ওষুধ সাময়িক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
রয়েছে এবং কোনটার দীর্ঘ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং কোন ঔষধ কিভাবে কাজ
করে। এবং তারা জানেন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াটি গুরুতর এবং কোনটি সামান্য।
আপনি যদি গুগল বা ইউটিউব দেখেই আপনার ঔষধ পরিবর্তন করে ফেলেন সেটি আপনার জন্য
বিপদজনক হতে পারে। এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আপনার প্রাণ নাশ ও হতে পারে। কাজেই
চিকিৎসক গনের পরামর্শ নিন কেননা তারা জানে সেই ঔষধটির কোন বিকল্প ঔষধ রয়েছে
কিনা। তিনি আপনাকে আরো পরামর্শ দিতে পারবেন যে সেই ঔষধটি ডোজ বাড়াতে হবে নাকি
কমাতে হবে নাকি একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। কাজেই ঔষধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া হলে করণীয় হিসবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রতিক্রিয়ার বিবরণ লিখে রাখুন
অনেক সময় দেখা যায় রোগীর ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বা
সুনির্দিষ্ট অথবা স্পষ্ট বিবরণ দিতে পারেনা। এতে করে চিকিৎসক বিভ্রান্ত হন এবং
চিকিৎসার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। যদি রোগী ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার
বিবরণ গুলো লিখে রাখে তাহলে চিকিৎসকের সামনে এটিই তথ্যসুলভ আচরণ করে। যার ফলে
চিকিৎসক সেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রতিরোধ হিসেবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এবং তিনি করণীয় সমূহ ব্যাখ্যা করতে পারেন। কোন বিবরণ সমূহ লিখে রাখবেন নিম্নে
তা উল্লেখ করা হলোঃ
- প্রতিক্রিয়ার লক্ষন সমূহ।
- প্রতিক্রিয়া শুরুর সময়।
- ঔষধ খাওয়ার সময়।
- যে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে সেই ঔষধের সাথে অন্য কোন ঔষধ খাওয়া হয়েছে কিনা।
- এর আগে এমন কোন সমস্যা হয়ে থাকলে সেটি লিখুন।
লক্ষণ বলতে বোঝানো হচ্ছে মাথা ব্যথা মাথা ঘোরা অথবা শরীরের রেশ বা লালচে হয়ে
যাওয়া ইত্যাদি। আর প্রতিক্রিয়া শুরুর সময় বলতে বোঝানো হচ্ছে ঔষধ সেবনের এক
ঘন্টা বা আধাঘন্টা পর নাকি কত সময় পর সেটি। কোন সময় ওষুধটি সেবন করেছেন সেটি
বোঝানো হচ্ছে ঔষধ খাওয়ার সময়। যে ওষুধটি সেবন করেছেন তার সাথে অন্য কোন ঔষধ
খেয়েছেন কিনা সেটা উল্লেখ করতে হবে। যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াটি দেখা যাচ্ছে
সেটা এর আগে হয়েছে কিনা সেটি উল্লেখ করতে হবে।
নির্দেশিকা ভালো ভাবে পড়ুন
আমরা অধিকাংশ সময় যে কাজটি করে থাকি ঔষধ খাওয়ার সময় নির্দেশিকা না পড়েই
ঔষধটি সেবন করে ফেলি। কিন্তু এই নির্দেশিকা পড়াটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দেশিকায় যে বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে সেগুলো পড়ার
মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠি। ঔষধ এর নির্দেশিকায়
যেই বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে সেগুলো হলো আপনি কি ওষুধটি সেবন করছেন সেই ঔষদে কি
কি উপাদান রয়েছে এবং সেগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু প্রয়োজনীয় এবং
উপকারী সেটি।
আপনি যে ঔষধটি সেবন করছেন সেই ঔষধটি কোন রোগের জন্য ব্যবহার অথবা সেবন করা যায়
সেটি নির্দেশিকায় দেওয়া থাকবে। আপনার সেবনকৃত ঔষধটি দিনে কতবার খাবেন এবং কি
পরিমানে খাবেন সেটিও উল্লেখ থাকে এই নির্দেশিকায়। যেই ঔষধ টি সেবন করছেন সে ঔষধ
টির সাথে অন্য কোন ঔষধ খেলে সমস্যা হবে কিনা সেটিও জানতে পারবেন। ঔষধটি কত
ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখবেন এবং কোথায় রাখবেন সেটি নির্দেশিকাই
দেওয়া থাকে। কাজেই ঔষধ সেবনের পূর্বে নির্দেশিকাটি ভালোভাবে পড়ুন।
প্রাকৃতিক ভাবে প্রতিকার করুন
যদি ঔষধ সেবনের পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাহলে এর প্রতিকার হিসেবে
ঔষধ সেবন না করে প্রাকৃতিক ভাবেও এটির প্রতিকার করা যায়। প্রাকৃতিকভাবে কিছু
পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে তিনি ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রশমন করতে যদি
পারেন তাহলে সেটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অধিক উপকারী হবে। এমনকি শরীরের
স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কাটিয়ে ওঠে। তবে এই
ধাপে একটি কথা বলে রাখা ভালো হালকা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেই
বেশিরভাগ সময় প্রাকৃতিক পদ্ধতি কাজে লাগে।
যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তীব্রতর হয় তাহলে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ
রইলো। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে যদি আপনার বমি বমি ভাব পায় তাহলে আদা চা ও
লেবু চা খান। আদা পেট ঠান্ডা রাখে এবং বমি ভাব কমায়। যদি মাথা ঘোরায় তাহলে
গোলাপ জল অথবা ঠান্ডা পানি মুখচোখে দিন। শরীরের দুর্বলতা কাটানোর জন্য গুড়ের
শরবত খান। অথবা কিসমিস মিশ্রিত পানি পান করুন। র্যাশতের জাতীয় কিছু দেখা দিলে
নিম পাতা ও গরম পানি দিয়ে গোসল করুন অথবা দই ও শসার রস তকে লাগান।
খাবারের সাথে ঔষধ খান
কোন কোন ঔষধ রয়েছে যেগুলো খাবারের সাথে খেতে হয়। আবার কোন কোন ঔষধ রয়েছে
যেগুলো খাবারের পূর্বে খেতে হয়। যে সমস্ত ঔষধ খাবারের সাথে খেতে হয় সেগুলো
যদি আপনি খাবারের সাথেই খান তাহলে আপনার শরীরে সেই ঔষধটি পূর্ণাঙ্গভাবে কাজে
লাগবে। এর পাশাপাশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে।
কিন্তু এই ধরনের ঔষধ যদি আপনি খাবারের সাথে না খান তাহলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার
প্রভাব বেশি দেখা যাবে। তাই এই সমস্ত ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ
সেবন করতে হবে।
এমন ঔষধ রয়েছে যেগুলো খালি পেটে খেলে পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে এমনকি আলসার
পর্যন্ত হতে পারে। যেটিকে বলে পেটের ঘা। আবার ভিটামিন জাতীয় ঔষধ খাবারের সাথে
খেলে সেগুলো ভালোভাবে শোষিত হয়। আপনি যদি খাবারের সাথে ঔষধ খান তাহলে সেটি
ধীরে ধীরে আপনার শরীরে রক্তের সাথে মিশে যাবে এর ফলে আপনার শরীরে হঠাৎ ধাক্কা
লাগবে না। অর্থাৎ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না। তাই ব্যথা নিরাময়ক সহ কিছু
এন্টিবায়োটিক ও ভিটামিন জাতীয় ঔষধসমূহ খাবারের সাথে খান।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পানির অপর নাম জীবন। পানি মানুষের শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং দূষিত পদার্থ
সমূহ নিষ্কাশন করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে আপনার ঔষধ
ভালোভাবে শোষিত হতে সহায়তা করবে। পানি ঔষধ দিয়ে গিলতে এবং পাকস্থলীতে গিয়ে
দ্রবীভূত করতে সহায়তা করবে। যার ফলে রক্তের সঙ্গে ভালোভাবে ওষুধটি মিশে যাবে
এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হার কমে যাবে। আবার এমন কিছু ঔষধ রয়েছে যে ঔষধ সমূহ
কিডনিতে প্রভাব ফেলে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে এই প্রভাব কিডনির উপর বিস্তার
করতে পারবে না।
এভাবেই পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে নিজের
শরীরকে বাঁচানো যায়। আবার পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে যদি আপনি ভুল ঔষধ
সেবন করে থাকেন তাহলে সেটি দ্রুত শরীর থেকে নিষ্কাশন হয়ে যায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা। তাই নিয়মিত
পর্যাপ্ত পানি পান করুন বিশেষ করে ঔষধের সাথে। এর ফলে ঔষধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। যদিও করে ফেলে তাহলে
সেটি দ্রুত প্রশমিত হয়ে যাবে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার করণীয় হিসেবে এটি গ্রহণ
করুন।
আত্মসচেতন থাকার চেষ্টা করুন
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে নিজেকে সবচেয়ে বেশি সচেতন রাখতে হবে।
আমাদের শরীর আল্লাহর দেওয়া একটা বড় নিয়ামত। এই শরীর দিয়েই আমরা দৈনন্দিন
নানারকম কাজকর্ম করে থাকি এবং আমাদের জীবিকা ও রুজির ব্যবস্থা করে থাকি। কাজেই
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিজেকে সচেতন রাখার পদ্ধতি গুলো খুঁজে
নিতে হবে। আমরা এই ধাপে আপনাদেরকে জানাবো আত্ম সচেতন বলতে কী বোঝায় এবং কিভাবে
আত্মসচেতন থাকা যায়। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
আত্ম সচেতনতা বলতে বোঝাচ্ছে আপনি টের পাচ্ছেন আপনার শরীরে কিছু একটা অস্বাভাবিক
ঘটছে এদিকে আর খেয়াল রাখা। আপনি যে ওষুধটি খাচ্ছেন সেটি কেন খাচ্ছেন এবং এর
কাজ কি সে সম্পর্কে সচেতন থাকা। আপনার পুরনো কোন রোগ আছে কিনা যেটিতে এই ঔষধের
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ক্রিয়া করতে পারছে সেই ব্যাপারে সচেতন থাকা। আপনার
শরীরের যখন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তখন আপনি সেই ব্যাপারে
গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। এই সচেতনতার মধ্য দিয়ে নিজেকে আত্মসচেতন করার
প্রক্রিয়া গড়ে তুলুন।
মন্তব্যঃ ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয়
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে
বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ঔষধ সাধারণত আমাদের অসুখ সারানোর জন্য
ব্যবহার করা হয় এবং সেবন করা হয়। ঔষধ টিকে পূর্ণতা দানের জন্য এতে নানা রকম
উপাদান মিশ্রিত করা হয়। তবে নির্দিষ্ট অসুখের জন্য নির্দিষ্ট উপাদানগুলো কাজ
করলেও বাকি উপাদান গুলো মাঝে মাঝে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যায়।
মানুষের শরীরের ওপর নির্ভর করে এটির ভিন্নতা লক্ষণীয় হয়। হরমোনের উপরেও এটি
নির্ভর করে।
যদি ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাহলে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের উপরে
বর্ণিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন। আতঙ্কিত না হয়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা
গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে ঔষধ পরিবর্তন করে নিন কিন্তু সেটিও
ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে। প্রতিটি ঔষধ সেবনের পূর্বে এর নির্দেশিকাটি
ভালোভাবে পড়ে নিন। পরিশেষে নিয়মিত আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনার
দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে নিন। এবং পরিচিতদের সাথে ভাগ করুন।250510
protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url