গায়ান ৩৫ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
গায়ান ৩৫ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়, গায়ান ৩৫ একটি হরমোনযুক্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, যা মূলত মহিলাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং হরমোন সংক্রান্ত কিছু সমস্যা যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, অতিরিক্ত মুখে লোম ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। আপনারা জানতে চেয়েছেন গায়ান
খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়। আজকের আর্টিকেলে মাধ্যমে আপনাদের জানাবো, এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। এই আর্টিকেলে গায়েন ৩৫ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে। তাই যারা এটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
সূচিপত্রঃ গায়ান ৩৫ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
গায়ান ৩৫ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
গায়ান ৩৫ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়, গায়ান ৩৫ খাওয়ার পর মাসিক হওয়ার
নির্দিষ্ট সময়সীমা নাই তবে সাধারণত সাদা বড়ি শেষ হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে
মাসিক শুরু হয় যদি মাসিক শুরু না হয় তবে গর্ব অবস্থায় বাতিল করার জন্য
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করা উচিত গান ৩৫মলতে একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল যা সাইপ্রটেরন
এবং ইথিনাইল এস্ট্রাডডায়াল এর সংমিশ্রণে তৈরি। এটি মহিলাদের ডিম্বাশয় এর
অ্যান্ড্রোজেনের অতিরিক্ত উপাদানকে রোধ করে যার ফলে অবাঞ্ছিত লোম এবং ব্রণের
সমস্যা কমে। এটি সাধারণত ২৮ দিনের চক্রে সেবন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ইউরিন ইনফেকশন দূর করা ১০ টি উপায়
যেখানে সাদা বড়ি ২১ দিন এবং ৭ দিন বিরতি নেওয়া হয়। সাদা বড়ি শেষ হওয়ার পর ৭
দিনের মধ্যে মাসিক শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু যদি মাসিক শুরু না হয় তবে
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যদি মাসিক শুরু হতে বেশি দেরি হয় বা কোন
কারণে গর্ভাবস্থায় সন্দেহ থাকে। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসাকের পরামর্শ নিতে হবে।
গায়ান ৩৫ খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় কারণ মাসিক চক্র দেরি হওয়া আরও অনেক কারণ
হতে পারে। যেমনঃ হরমোন এর ভারসামহীনতা, মানসিক চাপ বা অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা।
গায়ান ৩৫ এর কাজ কি
গায়ান ৩৫ এর কাজ হল বিবাহিত বা অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে তা
পুনরায় চালু করা। এছাড়া গায়ান ৩৫ এর কাজ হল মাথার চুল যদি অতিরিক্ত বৃদ্ধি
প্রাপ্ত হয় তাহলে তা স্বাভাবিক অবস্থাতে ফেরত নিয়ে আসা অর্থাৎ হরমোন
নিয়ন্ত্রণের প্রধান ঔষধ হিসেবে গায়ান ৩৫ ট্যাবলেটটি কাজ করে। গায়ান ৩৫ একটি
বিশেষ ধরনের গুণসম্পন্ন ঔষধ। গায়ান ৩৫ ট্যাবলেট অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে
উদ্ভাবন করা হয়েছে। বর্তমানে আধুনিকতা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যানে এ ধরনের ওষুধ
উৎভাবিত হয়েছে বলে আজকে নারীদের পিরিয়ড জনিত সমস্যা এবং হরমোন জনিত সমস্যা থেকে
মুক্তি পেয়েছে। যেসব রোগে চিকিৎসার জন্য গায়ান ৩৫ ট্যাবলেটটি খাবার নির্দেশ
দিয়ে থাকেন তা হলোঃ
- হরমোনের সমস্যা
- জন্মনিয়ন্ত্রণ
- অনিয়মিত মাসিক
- মহিলাদের মুখের অতিরিক্ত লোম
- ব্রণের সমস্যা
১.হরমোনের সমস্যাঃ হরমোন হলো শরীরের এক ধরনের রাসায়নিক বার্তাবাহক যা আমাদের
শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় এবং রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন
অংশে গিয়ে বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। গায়ান ৩৫ এ দুই ধরনের হরমোন থাকে।
যেমনঃ ইথিনাইল, সাইপ্রোটেরন এই দুই হরমোন মিলে একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং হরমোন
জনিত সমস্যা (যেমনং ব্রণ, অতিরিক্ত লোম, PCOS ) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
২.জন্মনিয়ন্ত্রণঃ গায়ান ৩৫ ডিম্বস্ফোটন বন্ধ করে দেয়। জরায়ুর গর্ভনালীর
মিউকাস ঘন করে দেয় যাতে শুক্রাণু সহজে ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে না পারে। জরায়ু
আস্তরণে পাতলা করে দেয় যাতে নিষিক্ত ডিম্বাণু বসতে না পারে।
৩.অনিয়মিত মাসিকঃ অনিয়মিত মাসিকের জন্য বিশেষজ্ঞরা গায়েন ৩৫ ট্যাবলেট
খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকে। গায়ান ৩৫ ট্যাবলেট কি খাওয়ার মাধ্যমে অনিয়মিত
মাসিক নিয়মিত হয়ে যায়।
৪.মহিলাদের মুখে অতিরিক্ত লোমঃ মহিলাদের মুখে অতিরিক্ত লোম হওয়ার কারণ হচ্ছে
এক ধরনের হরমোনজনিত সমস্যা। গায়ান ৩৫ ট্যাবলেট দিয়ে আপনি যদি সঠিক নিয়মে
অনুসরণ করে সেবন করেন তাহলে মুখের লোম গজানো বন্ধ হতে পারে।
৫.ব্রণের সমস্যাঃ গায়ান ৩৫ ট্যাবলেট এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খুব
দ্রুত সময়ের মুখে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনারা চাইলে এই ট্যাবলেটটি
সেবন করে দেখতে পারেন।
গায়ান ৩৫ খাওয়ার নিয়ম
গায়ান ৩৫ খাওয়ার নিয়ম নির্ভর করে আপনি কোন উদ্দেশ্যে কিংবা কোন রোগের
চিকিৎসা এটি সেবন করছেন তার উপর। যেহেতু উপরের অংশে বিভিন্ন কার্যাবলী
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে তাই আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন
রোগের চিকিৎসা এটি সেবন করছেন। তবে সবথেকে ভালো হয় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের
নির্দেশনা গ্রহণ করা। শারীরিক পরিস্থিতি এবং আপনার সমস্যা অনুযায়ী ঔষধটি
সেবন করা। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক রোগ অনুযায়ী গায়ান ৩৫ খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিত। এটি অনুসরণ করলে আপনি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট
রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
- হরমোন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ট্যাবলেট টি দিনের দুটি করে খেতে হবে।
- অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ট্যাবলেট টি ডোজ আকারে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন একটি করে খেতে হবে
- মহিলাদের মুখে অতিরিক্ত লোমের অপসারণে ট্যাবলেট দিনে তিনবার খেতে হবে।
- ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ট্যাবলেট দিনে একটি করে খেতে হবে।
গায়ান ৩৫ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা শুধুমাত্র গায়ান ৩৫ এর কাজ কি জানার পরে আর কোন কিছু
না জেনে খাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই ট্যাবলেটের কার্যকারিতা জানার পরে কোন
চিকিৎসার নির্দেশনা গ্রহণ না করে সেবন করে যায়। যার ফলে এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার
সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনি যদি মারাত্মক পরিস্থিতিতে পড়তে না চান তাহলে অবশ্যই
ট্যাবলেটি সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। আপনি যদি সঠিক নিয়ম অনুসরণ
করে ট্যাবলেটি সেবন করেন তাহলে সাধারণত কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে
পারেন। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- বমি বমি ভাব
- মাথা ঘোরা
- স্তন ব্যথা
- মেজাজের পরিবর্তন
- ওজন বৃদ্ধি
- ত্বকের রং পরিবর্তন
- কিডনির সমস্যা হতে পারে
- এলার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
- হাইপারটেনশন হতে পারে
উপরের এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো কিছুদিন দেখা দিতে পারে। তাই
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিলে গায়ান ৩৫ খাওয়া ছেড়ে দিবেন না ধৈর্য ধারন
করুন। যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো অস্বাভাবিক রকমের হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিসাধন হতে পারে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গায়ান ৩৫ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
গায়ান ৩৫ এর দাম কত
গায়ান ৩৫ ট্যাবলেটের দাম স্থায়ীভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ এটার দাম বাজারে রেটের
সাথে ওঠানামা করে। তবে গায়ান ৩৫ ট্যাবলেটের প্রতিটি প্যাকেটের মূল্য হল ১৮০
টাকা। এটি বিভিন্ন সময় পরিবর্তন হতে পারে। গায়ান ৩৫ কেনার সময় আপনারা অবশ্যই
আসল হলনামা দেখে ক্রয় করবেন। গায়ান ৩৫ এর দাম স্থানভেদে পার্থকে দেখা দিতে
পারে। এমন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা সামান্য লোভের জন্য ওষুধের দাম
অতিরিক্ত গ্রহণ করে থাকে।
এজন্য আপনি এদের থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন আর আপনি যদি এই গায়ান ৩৫ এর দাম
সঠিকভাবে জেনে যান তাহলে আপনাকে কোন ভাবে ঠকাতে পারবেনা। গায়ান ৩৫ হরমোনজনিত
সমস্যা এবং অনিমিত মাসিকে সমস্যা দূর করার কারণে অনেক মহিলাদের জন্য এটি অনেক
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি সেবনের ফলে মুখের অবাঞ্ছিত লোম এবং ব্রণের সমস্যা থেকেও
মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
গায়ান ৩৫ খেলে কি মোটা হয়
গায়ান ৩৫ খেলে কিছু ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে হয়
না। এর কারণ হলো গায়ান ৩৫ এ থাকা হরমোন গুলো শরীরের জল ধারণ ও ক্ষুধা বাড়াতে
পারে। যার ফলে কিছু ব্যাক্তিদের ওজন বাড়ে। অনেকেই এই ওষুধ খেয়েও ওজন বৃদ্ধির
কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে না। সাধারণত এটি বড় কোন ওজন বৃদ্ধি করে না
বরং এক থেকে দুই কেজির ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকে। স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়াম করলে
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব। কারো কারো ক্ষেত্রে লম্বা সময় ধরে খেলে মেটাবলিস জমে
প্রভাব ফেলতে পারে।
গায়ন ৩৫ খাওয়ার আগে অবশ্যই গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিজে থেকে না
শুরু করাই ভালো। ওষুধে থাকা হরমোনের কারনে শরীরের অতিরিক্ত পানি জমে যেতে পারে। এতে ওজন কিছুটা
বাড়ে কিন্তু তা চর্বি নয়। কিছু ব্যবহার কারীর ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে বেশি
খাওয়া হয় এবং ওজন বাড়ে। হরমোন ভারসাম মেয়ে পরিবর্তন হলে শরীরের মেটাবলিজম
ধীর হতে পারে। যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। গায়ান ৩৫ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক
হয় কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ধরনের বিল শরীরের চর্বি জমার আর কিছুটা
বাড়তে পারে।
গায়ান ৩৫ এর অপকারিতা
গায়ান ৩৫ একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি। যা সাধারণত হরমোন জনিত সমস্যায় চিকিৎসা
ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত মুখে
লোম, ব্রণ। তবে এই ওষুধটি খাওয়ার কিছু অপকারিতা ও থাকতে পারে। নিচে গায়ান ৩৫ এর
গুরুত্বপূর্ণ অপকারিতা দেয়া হলোঃ
- রক্ত জমাট বাধাঃ রক্ত জমাট বাঁধার ফলে হাত, পা ফুলিয়ে যাওয়া, বুক ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে। এসব সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- লিভারের সমস্যাঃ গায়ান ৩৫ খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা, চোখ বা ত্বকের হলদে ভাব ,লিভারের সমস্যা, জন্ডিস এসব দেখা দিতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপঃ গায়ান ৩৫ খাওয়ার ফলে শরীরের রক্তচাপ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে হাইপ্রেসারে সম্ভাবনা বেশি থাকে। হার্ট অ্যাটাক বাই স্টকঃ গায়ান ৩৫ দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে ধূমপানকারী বা ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য।
- দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা চোখের সমস্যাঃ গায়ান ৩৫ বেশিদিন সেবনের ফলে দৃষ্টিশক্তি সমস্যা দেখা দিতে পারবে।
গায়ান ৩৫ খাওয়ার আগে অবশ্যই গাইনী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটি কোন
সাধারন ওষুধ নয় বরং হরমোন সংক্রান্ত ওষুধ তাই ভুলভাল খেলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট
হতে পারে।
গায়ান খাওয়া কতদিন পর সহবাস করা যায়
গায়ান ৩৫ খাওয়া শুরু করার প্রথম দিন থেকে যদি খান তাহলে প্রথম দিন থেকে সহবাস
করা নিরাপদ। তবে দেরিতে শুরু করলে সাত দিন অপেক্ষা করে সহবাস করা ভালো। গায়ান ৩৫
একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। যা হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং অনির্ধারিত
গর্ভধারণ রোধ করতে সহায়তা করে। আপনি যদি এটি গর্ভনিরোধক হিসেবে ব্যবহার করেন
তাহলে সহবাসের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক মাথায় রাখা দরকার।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা
- মাসিকের প্রথম দিন থেকে শুরু করলেঃ মাসিকের প্রথম দিন থেকে গায়ার ৩৫ খাওয়া শুরু করেন। তাহলে সেই দিন থেকে একটি কার্যকর এবং সহবাস করা নিরাপদ। আলাদা কোন অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রয়োজন নেই।
- মাসিকের পঞ্চম দিন বা পরে শুরু করলেঃ আপনি যদি মাসিক শুরু পঞ্চম দিন বা তারপরে গায়ান ৩৫ খেতে শুরু করেন। তাহলে ওষুধটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হতে ৭ দিন সময় লাগে। এই সাত দিনের মধ্যে সহবাস করলে অতিরিক্ত সুরক্ষা যেমন কনডম ব্যবহার করা উচিত।
প্রতিদিন একই সময় পিল খাওয়া জরুরি। যদি কোনদিন পিল খেতে ভুলে যান তাহলে
নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। গায়ান ৩৫ কেবল গর্ভনিরোধক কার্যকর। এটি
যৌনরোগ প্রতিরোধ করে না। যৌনরোগ থেকে বাঁচতে কনডম ব্যবহার করাটাই উপযুক্ত।
গায়ান ৩৫ এর কার্যকারিতা কত ঘন্টা
গায়ান ৩৫ হল কম্বাইন্ড হরমোনাল পিল। গায়ান ৩৫ প্রতিদিন একটি করে খাওয়া হয়
এবং এটি ধীরে ধীরে কাজ করে তাৎক্ষণিক নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী নিয়মিত
ব্যবহারের ঔষধ। যদি আপনি মাসিকের প্রথম দিন থেকে গান ৩৫ থেকে শুরু করেন তাহলে
এটি প্রথম দিন থেকে কার্যকর হিসেবে ধরা হয় বিশেষ করে গর্ভনিরোধের জন্য। তবে
সম্পূর্ণ হরমোন নিয়ন্ত্রণের ফল পেতে তিন থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে
পারে।গর্ভনিরোধক কার্যকারিতা শুরু ২৪ ঘন্টার মধ্যে।
যদি মাসিকের প্রথম দিন থেকে শুরু করা হয়। ব্রণ কমাতে বা হরমোন নিয়ন্ত্রণে তিন থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।প্রতিদিন খাওয়ার পর কার্যকর থাকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত। এটি প্রতিদিন নির্দিষ্ট
সময়ে খেতে হবে। প্রতিটি ট্যাবলেট খাওয়ার পর এটি ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত শরীরে কার্যকর থাকে। তাই
প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া জরুরি। যেন শরীরের হরমোন লেভেল স্থির থাকে। গায়ন ৩৫
ধীরে ধীরে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক করে।
এর জন্য তিন থেকে ছয় সপ্তাহ বা কখনো কখনো দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে
পারে। এর মানে হলো একবার খাওয়ার পরও ওষুধ কিছুটা সময় শরীরে কাজ করতে থাকে। তবে
প্রতিদিন একই সময় খাওয়া জরুরি যাতে কার্যকারিতা নষ্ট না হয়। গায়ান ৩৫ একটি
শক্তিশালী হরমোনাল ঔষধ। তাই এটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট সময়ে
নিয়ম করে খেতে হয়। নিজের ইচ্ছে মত বন্ধ বা শুরু করা ঠিক নয়।
মন্তব্যঃ গায়ান ৩৫ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
গায়ান ৩৫ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয় যেহেতু ট্যাবলেটটি মাসিক পুনরায় চালু করতে
ব্যাপক হারে সহায়তা প্রদান করে ও হরমোন জনিত সমস্যা অনিয়মিত পিরিয়ড মুখের লোম
বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যাগুলোর সমাধান করে থাকে।এই সমস্যা সমাধান পেতে যারা ইচ্ছুক
তারা এই ট্যাবলেটটি সেবন করে দেখতে পারেন। কারণ আজ পর্যন্ত এই ওষুধের কার্যকারিতা
ভুল প্রমাণিত হয়নি। এজন্য নিয়মাবলী মেনে সেবন করতে হবে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলে যেসব তথ্য প্রদান করা হয়েছে সেগুলো আপনাদের অনেক
উপকারে আসবে। তবে সব সময় খেয়াল রাখবেন যে কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে অভিজ্ঞ
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। ফলে আপনাদের ভবিষ্যতে কোন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সম্মুখীন
হতে হবে না। এরকম সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ। 250510


protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url