সোনাপাতার ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা, সোনাপাতা সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের হজমের
সমস্যা পেটের রোগ বা অন্যকোন শারীরিক সমস্যা আছে তাদের সোনাপাতা ব্যবহারের আগে
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে গর্ভবতী মা
এবং পাঁচ বছরে কম বয়সে শিশুদের সোনাপাতা ব্যবহার করা উচিত নয়। আজকে আমরা আলোচনা করব সোনাপাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। এই পাতা খেলে ওজন কমে কিনা সে সম্পর্কে।
তাছাড়া সোনা পাতা খেলে কি হয় এই সবটাই জানতে পারবেন আজকের আলোচনা থেকে।
সোনাপাতার ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা, আমরা যদি প্রতিনিয়ত সোনাপাতার গুড়া খেতে চাই তবে অবশ্যই আমাদের রুটিন মেনে
খাওয়া উচিত। আপনি হয়তো জেনেছেন সোনাপাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। সেই
নিয়মের বাইরে যদি অতিরিক্ত সোনাপাতা সেবন করেন তবে আমাদের শরীরের জন্য এটি
ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সোনাপাতা খাওয়ার পূর্বে সোনা পাতার ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা সম্পর্কে
জেনে নেওয়া উচিত। সোনাপাতার নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হলেও কিছু ক্ষেত্রে এটি
ক্ষতিকর দিক থাকতে পারে। অতিরিক্ত সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া বমি
বমি ভাব অনুভব এবং ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় বুকের দুধ
খাওয়ানো এবং কিছু স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা থাকলে ব্যবহার করা উচিত নয়।
সোনাপাতার ক্ষতিকর দিক গুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
সোনাপাতা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে ব্যথা, ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে
পারে।
অতিরিক্ত খাবারের ফলে আমাদের অন্ত্রের সংকোচন দুর্বল করে দেয়। যার ফলে অন্ত্রের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এলার্জি সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে সোনাপাতা অতিরিক্ত সেবনে শরীরের চুলকানি দেখা
দিতে পারে।
অতিরিক্ত সোনাপাতা খাওয়ার ফলে জরায়ুর সংকোচন দেখা দিতে পারে। যেটা
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীর ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত মাত্রই সোনাপাতা খেলে এটি আমাদের লিভার ও কিডনির উপরে চাপ ফেলে। যার
ফলে এটি আমাদের লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা দুর্বল করে ফেলে।
তাছাড়া আর সোনাপাতা খাবার ফলে এটি আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের
করে দেয়। যেটা আমাদের শরীরের পানি শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে।
সোনাপাতার উপকারিতা
প্রাকৃতিক এই পাতা আমাদের নানান রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারে। বিশ্ব হারবাল গবেষণা
ইনস্টিটিউশন সোনাপাতাকে অত্যন্ত শক্তিশালী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সারা বিশ্বে
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্য সোনাপাতা গ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে, এমনকি বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থাকালীন সংঘটিত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য সাময়িক চিকিৎসা হিসেবে
সোনাপাতার ব্যবহার অনুমতি দেয়। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্যের মহা ঔষধের মতো
কাজ করে এই সোনাপাতা।
সোনাপাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা নিজে আলোচনা
করা হলোঃ
আয়ুর্বেদ শাস্তি সোনাপাতাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে। কারণ
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সোনাপাতার ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে।
লিভার এবং কোলনের সমস্যা সোনাপাতার গুরুত্বপূর্ণ ও ভূমিকা পালন করে।
সোনাপাতা ব্যবহারের ফলে শরীরের ওজন কমার পাশাপাশি ক্ষুধার অধিকাংশই কমে
আসে।
যারা কৃমির সমস্যায় ভুগছেন কৃমিজনিত সমস্যা দূর করার জন্য সোনাপাতা বেশ
কার্যকরী।
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সোনাপাতা খুব ভালো সমাধান দিতে পারে।
সোনাপাতা সেবনের ফলে হজম প্রক্রিয়া সঠিক থাকে।
গর্ভাবস্থায় সোনাপাতা খেলে কি হয়
সোনাপাতার গর্ভাবস্থায় খাওয়া সাধারণত পরামর্শ যোগ্য নয়। যদিও এটি প্রাকৃতিক
ঔষধ হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে গর্ভাবস্থায় এটি ব্যবহার করা
ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িয়ে দিতে পারে যা অকাল প্রসব গর্ভপাতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
সোনাপাতা জরায়ু সংকোচন বাড়িয়ে দিতে পারে যা অকালে প্রসব বা প্রভাব ফেলতে
পারে। গর্ভবতী নারী এবং শিশু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়তে পারে। গর্ভবতী
নারীদের জন্য সোনাপাতা ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এবং জরায়ু সংকোচন ঘটাতে পারে, যা প্রসবকালীন জটিলতা বা অকাল গর্ভপাতের ঝুঁকি
বাড়তে পারে। সোনাপাতা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে মা ও শিশুর কিডনির ওপর
অতিরিক্ত চাপ পড়ে কিডনি কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারি এবং কিডনি
দীর্ঘস্থায়ী রোগে ঝুঁকিতে পাড়তে পারে। তাছাড়া সোনাপাতা খাওয়ার পরে মা ও শিশু
শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং পানিশূন্যতা সৃষ্টি হলে দুজনের বিপদে
সম্মুখীন হতে পারে। গর্ভাবস্থায় সোনাপাতা সেবনের ফলে এলার্জি সমস্যা এবং
শরীরে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের সোনাপাতার ব্যবহার
কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগের সোনাপাতার ব্যবহার অতুলনীয়। এই সোনাপাতায় মিলবে হাজারো রোগ
থেকে মুক্তি। এতে খনিজ, লবণ, ক্যালসিয়াম এর নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন
ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার রোধে সোনাপাতা খুব ভালো কাজ
করে। এ পাতা পিচ্ছিল হয় মানব দেহের বৃহদন্তে পানি ও ইলেকট্রোলাইট শোষণ বাধা
প্রাপ্ত হয়। ফলে তন্ত্রের উপাদানগুলো চাপ বৃদ্ধি করে এবং কোলনেযর সঞ্চালন
উদ্দীপ্ত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে খুব সহজে দেহ থেকে মল নিষ্কাশন হয়।
এজন্য সোনাপাতাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহা ঔষধ বলা হয়। এ পাতা গ্যাস্টিকে
সমস্যার রোধ করতে সাহায্য করে। ক্ষুধা ও ওজন কমায়, রুচি বৃদ্ধি করে কৃমিনাশক
হিসেবে কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য জন্য ও দ্রুত ওজন কমাতে অন্যান্য পাতা তুলনা সোনাপাতার গুনাগুন বেশি সোনাপাতার উপকারিতা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যাদের মত
কাজ করে সক্রিয় করে এতে থাকা এনথ্রানেড রেচক হিসেবে কাজ করে।
সোনাপাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
সোনাপাতার গাছ আমরা কমবেশি অনেকেই চিনে থাকি কিন্তু সোনাপাতা খাওয়ার কি উপকারিতা
সে সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারনা নেই বললেই চলে। তবে এ সকল উপকার পাওয়ার জন্য সোনাপাতার গুঁড়া খাওয়ার সঠিক এবং কার্যকারী নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।
চলুক সোনাপাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।সোনাপাতার ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতাঃ
হারবাল পানীয়র সাথে মিশিয়েঃ মূলত হারবাল পানীয় বলতে সাধারণত তুলসীর পাতা,
আদা বা গোলমরিচের সংমিশন নিয়ে তৈরিকৃত চা বোঝানো হয়েছে। মূলত এই পানির সাথে
যদি সামান্য পরিমাণে সোনাপাতার গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে এর ফলে আপনি
শরীরে বিভিন্ন রকমের ক্ষতিকর জীবাণু থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়াঃ সকলেই জানি দুধ খেলে আমাদের শরীরে শক্তি
বৃদ্ধি পায়। তবে আপনি যদি সেই দুধের সাথে হালকা পরিবারের সোনাপাতার গুড়া
মিশিয়ে খান তবে এটি আপনার শরীরকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলবে এবং শরীরকে
সবসময়ই চাঙ্গা করে রাখবে। তাহলে নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন দুধের সাথে
সোনাপাতার গুড়া মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা।
মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়াঃ সোনাপাতার গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে খাবার
ফলে এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তার জন্য
সোনাপাতা সংগ্রহ করে সেটি পরিষ্কার করে নিতে হবে, এরপর সোনাপাতা শুকিয়ে
গুড়া করে নিতে হবে। তারপর প্রতিদিন সকালে সামান্য পরিমাণ সোনাপাতার গুড়ার সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
ট্যাবলেট বানিয়ে খাওয়াঃ আপনার শরীর বিভিন্ন রকমের উপকার সাধনের
জন্য সোনাপাতার গুড়া ট্যাবলেট বানিয়ে খেতে পারেন। আবার আপনি চাইলে বাজার
থেকেও কিনে ট্যাবলেট খেতে পারেন। কেননা বাজারে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি হয়।
তবে বাজার থেকে সেই ট্যাবলেট কিনে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই
উত্তম।
সোনাপাতার বৈজ্ঞানিক নাম কি
সোনাপাতা একেক জায়গায় একেক নামে পরিচিত। যার কারণে কেউ যদি অন্য নাম বলে তবে
ওই পাতা চিনা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে। তাই এখন আমরা জানবো সোনাপাতার সব রকমের নাম সম্পর্কে। পাশাপাশি জানব এর বিজ্ঞানিক নাম কি।
সোনাপাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম আমরা সকলেই জানা হয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে সকল
জায়গায় সোনাপাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকের ধারণা রয়েছে। তবে চলুন সোনাপাতার
নামগুলো জেনে নেই।
সোনাপাতার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে(Cassia Angustifolia Vahl) সে ক্ষেত্রে সোনাপাতার ইংরেজি নাম হচ্ছে (Senna leaf) এছাড়াও সোনাপাতা বাংলাদেশ এবং ভারতের
বিশেষ কয়েকটি নাম রয়েছে সেগুলো হচ্ছে সোনাপাতা, সোনামুখী পাতা, আমলতাস পাতা,
স্বর্ণ পাতা, নীলা ভারায়, অলসেন্দা ইত্যাদি। আবার আরবিতে সোনাপাতা কে 'সানামাকি'
বলা হয়।
সোনাপাতা খেলে কি ওজন কমে
আমাদের অনেকে মনে প্রশ্ন জাগে যে সোনাপাতা খেলে কি ওজন কমে। এই জন্য আমরা গুগল এর
সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে থাকি। তবে এ সঠিক দিক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়
সোনাপাতা খেলে সরাসরি ভাবে আমাদের শরীরের ওজন কমানোর কোন সম্ভাবনা নাই। কেননা এটি
যেমন বৈজ্ঞানিক দিক থেকে প্রমাণিত নয়। ঠিক তেমনি শুধুমাত্র সোনাপাতা খেলে ওজন
কমা সম্ভাবনা খুব কম। সোনাপাতায় এমন এক ধরনের আয়ুর্বেদিক, সেটা যদি আপনার গরম
পানি অথবা হারবাল চায়ের সাথে মিশিয়ে খান তবে এটি আপনার হজমে সহায়তা
করবে।
যার ফলে কিছুটা ওজন কমলেও কমতে পারে। আবার আপনি যদি সঠিক খাদ্যাভ্যাসের সাথে
সোনাপাতার গুঁড়া খান। তবে সে ক্ষেত্রে কিছুটা উপকার পেতে পারেন। আপনার শরীরের
ওজন কমানোর জন্য সোনাপাতার গুড়া পাশাপাশি আপনাকে সঠিকভাবে ব্যায়াম ও ডায়েট
কন্ট্রোল করতে হবে। যার উছিলায় আপনার শরীরের ওজন কমানোর জন্য এটা কিছুটা হলেও
কাজে দিবে। তবে সব সময়ের জন্য সোনাপাতার গুড়া অতিরিক্ত সেবন করা থেকে বিরত থাকা
উচিত। কেননা এর ফল আপনার পেটের হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সোনাপাতা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন
সোনাপাতা এটি এমন এক ধরনের আয়ুর্বেদিক যেটা খাওয়ার সাথে আপনার শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তবে এটি শুধু খেলে নয় বরং নিয়ম মেনে খেতে
হবে। তবে এর কার্যকারিতা আমাদের শরীরে দেখা দেবে। তাই এটি খাবারের পূর্বে অবশ্যই
আমাদের জানা উচিত সোনাপাতা খাওয়া সঠিক নিয়ম কখন, চলুন জেনে নেওয়া যাক। আমরা
যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সোনাপাতা খায় তবে এটি আমাদের পেটের খুব সহজে শুষিত
হয়ে যাবে। যার ফলে এটি আমাদের কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি সকালে খালি পেটে
সোনাপাতা দুধের সাথে মিশ্রণ করে খাবার ফলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হতে পারে।
আমরা যদি সকাল, দুপুর কিংবা রাতে খাবার শেষে হালকা গরম পানি কিংবা চায়ের সাথে
সোনাপাতার গুড়া মিশিয়ে খায় তবে এটি আমাদের হজম শক্তি উন্নত করবে। যার ফলে
আমাদের পেটের উপর চাপ কম পড়বে এবং আমরা শান্তি অনুভব করব তার জন্য অতিরিক্ত
খাবার পরে এটি খেলে বিশেষ করে একটু ভালো কাজ করবে। আবার আপনি যদি রাতে ঘুমানোর
আগে এক গ্লাস দুধের সাথে বা মধুর সাথে সোনাপাতার গুড়া মিশিয়ে খান সে ক্ষেত্রে
আপনার ঘুমের উন্নতি হবে অর্থাৎ সে সময়ে এটি খেলে আপনার মানসিক চাপ কিছুটা হলেও
কমবে এবং শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন।
সোনাপাতার পুষ্টি গুনাগুন
সোনাপাতার এক প্রকার বীরৎ জাতীয় উদ্ভিদের। এর পাতা দেখতে অনেকটা মেহেদি
পাতার মতো হলেও, গুনাগুন সম্পূর্ণ ভিন্ন এতে রয়েছে ১.৫-৩℅হাইড্রোজায়ানথ্রাসিন
গ্লাইকোসাইড, প্রধানত সেনোসাইট এ এবং বি যা রেইন- হায়ানথ্রোন এবং কম পরিমাণের সেনোসাইড সি এবং ডি যা-রেইন- এলো-ইমোডিন-হেটেরোডায়ানথ্রোন, ন্যাপথলিন গ্লাইকোসাইড ফ্ল্যাভোনয়েড( কেম্পফেরল এবং আইসো-রামানিটিন এর
ডেরিভেটিভ), ১০-১২℅ খনিজ উপাদান।
৭-১০℅ মিউসিলেস( গ্যালাক্টোজ, এরাবিনোজ, রামনোজ এবং গ্যালাকটিউরোনিক এসিড),
প্রায় ৮% পলিঅল( পিনিটল); সুগার( গ্লুকোজ এবং সুক্রোজ) এবং রেজিন। এ সকল খনিজ
লবণ ক্যালসিয়াম ফ্ল্যাভোনয়েড নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলি সোনা পাতার ভেষজ
গুণাগুণ বহন করে এবং মানুষের নানাবিধ সমস্যার সমাধানে উপকারে আসে।
মন্তব্যঃ সোনাপাতার ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা
সোনাপাতার ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি সোনাপাতা উপকারিতা এর পাশাপাশি
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সোনাপাতা ব্যাপক উপকার পাওয়া যায়। সোনাপাতা থেকে
সঠিক উপকার পেতে বাজারের সোনাপাতা নয় ভরসা রাখুন ন্যাচারাল সেনাপাতা । যা সরাসরি
প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে উন্নত মানের
প্লাস্টিক বায়ু নিরোধক পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়
এতে সোনাপাতার আসল গুনাগুন অক্ষত থাকে এবং যথাযথ উপায় পাওয়া যায়। আমাদের এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন যে সোনা পাতার ক্ষতিকর দিক উপকারিতা
অপকারিতা সম্পর্কে আরো শিক্ষনীয় আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন ধন্যবাদ।
250510
protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url