তিতির মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

তিতির মুরগি কত দিনে ডিম দেয়, আসসালামু আলাইকুম আপনারা অনেকেই হয়তো তিতির মুরগি কি এটা নিয়ে গুগলে সার্চ দেন। আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করব তিতির মুরগি কি, কিভাবে ডিম দেয়, তিতির মুরগি চেনার উপায়, তিতির মুরগির জাত তিতির

তিতির-মুরগি-কত-দিনে-ডিম-দেয়মুরগির খাদ্য তালিকা, স্ত্রী এবং পুরুষ যাত চেনার উপায়, তিতির মুরগি পালনের সুবিধা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে তিতির মুরগি পালনে কি কি সুবিধা অসুবিধা রয়েছে আমাদের লিখা আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

পেজ সূচিপত্রঃ তিতির মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

তিতির মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

তিতির মুরগি কত দিনে ডিম দেয়, জন্মের পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই সাধারণত তিতির মুরগির ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেসব বিষয়ের উপর মুরগির ডিম দেওয়া মুরগির অসুখ-বিসুখ এবং খাদ্য ও পুষ্টি এইসব নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ 
  • খাদ্য ও পুষ্টির মানঃ যদি সঠিক ও পরিপূর্ণভাবে খাবার দেওয়া হয় তাহলে টিপির মুরগি দ্রুত পরিপক্ক হয়ে ডিম দিতে শুরু করবে।
  • আবহাওয়া ও পরিবেশঃ তিতির মুরগি পালনে সাধারণত তিতির মুরগি শীতল ও আরামদায়ক পরিবেশে মুরগির প্রজননে সহায় হোক ভূমিকা রাখে।
  • রোগ বালাই থেকে মুক্তি থাকাঃ যদি মুরগিগুলো সুস্থ থাকে এবং রোগ মুক্ত থাকে তাহলে তিতির মুরগি তাড়াতাড়ি ডিম দিতে শুরু করবে।
  • আলো ও ঘুমের সময়ঃ দিনে সাধারণত ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা আলো থাকলে ডিম উৎপাদন বাড়ে, এবং পর্যাপ্ত আলো ও বিশ্রাম বিম উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ১৫ থেকে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত আলোতে রাখতে হবে।

তিতির মুরগির জাত ও বৈশিষ্ট্য

তিতির মুরগি হলো এক ধরনের পাখি যা মুরগির মতোই পালিত হয়। তবে তিতির মুরগির শারীরিক গঠন ও স্বভাব কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত এই মুরগির উৎপত্তি আফ্রিকাতে হলেও এটি এখন বাংলাদেশসহ নানা দেশে এটি বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। তিতির মুরগির জনপ্রিয় কিছু জাত সমূহ রয়েছে যেমনঃ
  • পার্ল তিতিরঃ এদের দেহে ছোপ ছোপ সাদা দাগ এবং এই মুরগি সবচেয়ে বেশি পালন হয়ে থাকে এবং এদের ওজন ১ কেজি থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • সাদা তিতিরঃ এই মুরগির সম্পূর্ণ পালক সাদা হয়ে থাকে, এটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় তবে তুলনামূলকভাবে এটি কম জনপ্রিয়।
  • ল্যাভেন্ডারঃ এই জাতের মুরগি সাধারণত হালকা ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে, এবং এটি সৌখিন খামারিরা বেশি পালন করে থাকে।
তিতির মুরগির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই মুরগির মাথা ও ঘাড়ে পালক কম থাকে, চোখ বড় উজ্জ্বল হয়ে থাকে, লম্বা পা ও দ্রুত দৌড়াতে পারে, কন্ঠে শব্দ করার ক্ষমতা বেশি, ডিমের খোল শক্ত এবং ডিমের রং হালকা বাদামি কালার হয়ে থাকে। এই মুরগি দলবদ্ধ ভাবে চলাফেরা করে এবং এরা সহজে ভয় পায়।এরা সাধারণত পাহারাদার পাখি হিসেবে কাজ করে, তুলনামূলকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এই মুরগির।

তিতির মুরগির খাদ্য তালিকা

তিতির মুরগি সুস্থ এবং দ্রুত ডিম দেওয়ার জন্য সুষম খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিতির মুরগি পালনে খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন মিনারেল এবং পর্যাপ্ত শক্তি থাকা দরকার। তাহলে এসব মুরগি তাড়াতাড়ি বড় হবে এবং সময়মতো ডিম দিবে এজন্য তিতির মুরগি পালনে তাদের খাদ্য তালিকা ঠিক রাখতে হবে এবং সময়মতো তাদের খাবার দিতে হবে। মুরগি পালনে কখন কোন বয়স পর্যন্ত কিভাবে কখন কি রকম খাবার দিতে হবে তা নিম্নরূপঃ
  • বয়স যখন ৮ সপ্তাহঃ ক্রাম্বল ফিড এতে ২০% প্রোটিন থাকে এবং চিটাগুড়া সামান্য পরিমাণে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট, সামান্য ক্যালসিয়াম পাউডার এইসব খাওয়াতে হবে।
  • মাঝবয়সীঃ যখন এই মুরগির বয়স ৯ থেকে ২০ সপ্তাহ হবে তখন ফিড পরিবর্তন করতে হবে ফিট পরিবর্তন করে গ্রেয়ার ফিড দিতে হবে যেখানে ১৬ থেকে ১৮% প্রোটিন থাকে। এবং নিয়মিত ভুট্টার গুড়া, গম চালের কুড়া, শাক সবজি যেমন লাউ পাতা, কলা পাতা, পালং শাক এবং মিনারেল মিকচার ইত্যাদি এসব খাওয়াতে হবে।

তিতির মুরগির ডিম দেওয়ার সময়কাল

বছরে দুইটি প্রধান সময় কালে তিতির মুরগি ডিম দিয়ে থাকে।তবে উপযুক্ত পরিবেশ ও খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটি সারা বছর ধরে ডিম দিতে পারে। তিতির মুরগির স্বাভাবিক প্রজনন সময়কাল বসন্ত ঋতু মার্চ এপ্রিল থেকে জুন এই সময়ে তাপমাত্রা আর আলো থাকা এই সময়ে ডিম দেওয়ার হার বেশি থাকে। তিতির মুরগির প্রাকৃতিক পরিবেশে ডিম পাড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। শরৎ ঋতু সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এর মধ্যে অনেক খামারে দেখা গেছে দ্বিতীয়বার ডিম পারা শুরু হয় এই সময়। যদি আবহাওয়া এই সময় অনুকূলে থাকে তাহলে ডিম আরো ভালো দেয় ওই সময়।
তিতির-মুরগি-কত-দিনে-ডিম-দেয়
তিতির মুরগির এক বছর ডিম দেওয়ার গড় সময়কাল সাধারণত একটি প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটির মুরগির বছরে ১০০ থেকে ১৫০ টি ডিম দিয়ে থাকে। প্রতিদিন নয় তবে সাধারণত প্রতিদিনে দিনে দুটি একটি ডিম পাড়ে। সাধারণত আলো কম থাকলে ডিম দেওয়ার হার কমে যায়। এবং পর্যাপ্ত পুষ্টি ক্যালসিয়াম ও পানি না থাকলে ডিম দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। যদি পরিবেশগত স্টেজ থাকলে এবং অসুস্থ হয় তাহলে প্রজনন বন্ধ হতে পারে। সঠিক পরিচর্যা ও পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে তিতির মুরগি বছরে দুইবার ডিম দেওয়ার মৌসুমে ভালো ফলন দেয়। আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত আলো এসব দিক বিবেচনা করে আপনাকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা চালু করতে পারেন।

সুবিধা ও অসুবিধা তিতির মুরগি পালনে

তিতির মুরগি পালন একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। তিতির মুরগি পালনে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে এই মুরগি পালন করতে গেলে আপনাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে , তিতির মুরগি পালনে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে তা আলোচনা করা হলো দুটি দিক বিশ্লেষণ করা হলো ঃ
সুবিধা সমূহঃ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তিতির মুরগি সাধারণত রোগে আক্রান্ত কম হয় এবং চিকিৎসা ব্যয় খুবই কম। কম খরচে পালনযোগ্য মুরগি পালনে খাদ্য ও বাসস্থান অনেকটাই সহজ তাই এটি অল্প বিনিয়োগে শুরু করা যায়। এই মুরগির ডিম ও মাংসের চাহিদা অনেক বেশি কারণ এই মুরগির মাংস অনেক পুষ্টিকর দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অসুবিধা সমূহঃ এই মুরগি সাধারণত চঞ্চল ও ভয় প্রবণ হয়ে থাকে। অল্প কোন সাউন্ড নেই এই মুরগি দৌড়ে এবং উড়িয়ে পালাতে পারে। এই মুরগির ডিম লুকিয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে এতে করে ডিম খুঁজে পেতে সমস্যা হয় ও প্রজননের জন্য কষ্টসাধ্য। বাচ্চা পালনের ঝুঁকি রয়েছে এই মুরগির কারণ সদ্য বাচ্চা ফোটা খুবই সংবেদনশীল যত্নে না রাখে মারা যাবে। এই মুরগির সহজে পোষ মানে না সুযোগ পেলেই পালিয়ে চলে যায়। বাজারজাতকরণের সমস্যা হয়ে থাকে এই মুরগির কারণ সব জায়গায় চাহিদা এবং বাজারজাতকরণ না থাকায়। সঠিক পরিকল্পনা আমার ব্যবস্থা ও বাজারজাত কোণের ব্যবস্থা যদি ঠিক থাকে তাহলে এই ব্যবসা অনেক লাভজনক।

তিতির মুরগি পালনে আয় করার উপায়

তিতির মুরগি পালন করতে গেলে কিছু ধাপ আছে এগুলো অনুসরণ করতে হবে এ ধাপগুলো যদি আপনি সঠিক নিয়ম মেনে যদি পালন করে থাকেন তাহলে আপনি তিতির মুরগি পালন করে লাভজনক হতে পারবেন। প্রথমে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে আপনি কি করতে চান আমি শুরুর দিকে কতটা তিতির মুরগি দিয়ে শুরু করতে চান। ডিম উৎপাদনের জন্য নাকি জন্য এটি আপনি ব্যবসা হিসেবে শুরু করতে চান। তিতির মুরগি পালনের জন্য নিরাপদ এবং একসাথে মুগ্ধ একটি ঘর বা সেড প্রয়োজন।

এ মুরগি পালনের সময় আপনাকে খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে এ মুরগির বয়স অনুযায়ী খাদ্যে পরিকল্পনা করতে হয়। প্রতিদিন এই মুরগিকে পরিষ্কার পানি খাওয়াতে হবে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার দিতে হবে। নিয়মিত খামার পরিষ্কার করতে হবে। সময় মত রোগ প্রতিরোধ কারো টিকা দিতে হবে। যদি কোন মুরগি অসুস্থ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সে মুরগিকে আলাদা রাখতে হবে। আপনার যদি এই মুরগি পালনে কোন অসুবিধা হয় তাহলে আপনি ইউটিউব বা যেকোনো সরকারি প্রকল্প থেকে গাইডলাইন পেতে পারেন।

মহিলাদের অংশগ্রহণ তিতির মুরগি পালনে

বাংলাদেশী মহিলাদের জন্য তিতির মুরগি পালনের একটি বেশ লাভজনক ব্যবসা। গ্রামের মহিলারা চাইলে এটি বাড়ি বাড়ি এ মুরগি পালন করতে পারে এবং এর থেকে ইনকাম করতে পারেন। এটি ঘরে বসেই পালন করা যে এবং স্বল্প আয় এই মুরগি পালন শুরু করা যায়। এ মুরগি পালন অল্প জায়গায় করা যায় যেমন আপনার বাড়ির উঠানে বা আগে নাই আপনি এটি পালন করতে পারবেন। মেয়েরা তাদের দৈনন্দন কাজের পাশাপাশি এটি পালন করতে পারবেন। তারা রানা বাচ্চার সংসার সামলানোর পরেও এটি ঘরে বসেই করতে পারবে।
এটি একটি নিরাপদ ও ঝুঁকি সম্পন্ন ব্যবসা। ঘরের বাইরে না গিয়ে বাড়িতে বসেই এই মুরগি পালন করতে পারবে। আপনি চাইলে স্বল্প পুঁজিতেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন প্রথমত পাঁচ থেকে দশটি মুরগি নিয়ে শুরু করতে পারেন। এবং এতে করে মহিলারা নিজেদের আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারবে। বাংলাদেশে অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে তিতির মুরগির পালনের উৎসাহিত করে। তারা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ঋণ এবং প্রদান করে থাকে। বাস্তব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের একজন মহিলা দশটি তিতির মুরগি দিয়ে শুরু করে এখন ১০০ টেরও বেশি তিতির মুরগি পালন করেন প্রতি মাসে ১০০০০ টাকা আয় করে থাকেন।

লাভজনক হওয়ার কৌশল তিতির মুরগি পালনে

তিতির মুরগি পালন একটি শখ নয় পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি এটি শুরু করা যায় তাহলে এতে অনেক লাভজনক হওয়া যাবে। একটি খামার গড়তে কি ধরনের সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে তা হচ্ছে, প্রথমত আপনাকে সঠিক জাত নির্বাচন করতে হবে। ভাল জাত মানে ভালো মাংস ও ডিম দেওয়া। আপনি যদি ৫০ থেকে ১০০ টি মুরগি দিয়ে শুরু করেন তাহলে আপনি এখান থেকে অল্প পুঁজিতে লাভজনক হতে পারবেন। আপনি যদি বেশি সংখ্যক মুরগি পালন করে থাকেন তাহলে আপনার বাজারজাত করতে সুবিধা হবে।
তিতির-মুরগি-কত-দিনে-ডিম-দেয়
আপনাকে এই মুরগি পালনের জন্য উন্নত খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মানসম্মত ফিড এবং প্রোটিন খাবার দিতে হবে। মুরগি পালন করতে গেলে আপনাকে রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত টিকা প্রদান করতে হবে। আপনি এ মুরগি পালনের সময় যে খরচ করে থাকবেন সেটি আপনাকে নোট করে রাখতে হবে তাছাড়া আপনি মুরগি পালনে লাভজনক এর জায়গায় লোকসান করে ফেলবেন। আপনার যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং বাজার সংযোগ থাকলে তিতির মুরগি খামার লাভজনক ও টেকসই হতে পারে।

তিতির মুরগির ডিম ও মাংসের বাজার মূল্য

তিতির মুরগি কত দিনে ডিম দেয়, মুরগির ডিম সাধারণত প্রতি পিস ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়, অর্গানিক বা খামারি ডিম ১৫ টাকা থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ভজন প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে এলাকাভিত্তিক। এসব ডিমের চাহিদা সাধারণত শহরে যেসব পরিবার পুষ্টির দিকে সচেতন, এবং বিভিন্ন দলের হোটেল এবং বিভিন্ন দলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক যেসব লোকজন ডায়েটে আছেন তাদের জন্য। তিতির মুরগির মাংসের বাজার মূল্য যদি গড় হিসাব করা হয় যদি কোন মুরগির এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়ে থাকে তাহলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম হয়।

একটি পূর্ণবয়স্ক তিতির মুরগির দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই মুরগিতে অনেক চর্বি কম এবং এতে অনেক পুষ্টি রয়েছে এবং এর গন্ধ কম সহজে হজম হয়ে যায়। তিতির মুরগি ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। এই মুরগি স্থানীয় বাজার ছাড়াও অর্ডার ভিত্তিক আপনি এটি বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি ফেসবুক এবং অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে এটি প্রচার করেন তাহলে এর দাম আরো ভালো পাবেন। রেস্টুরেন্ট এবং হোটেলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন, এর সাথে একটা চুক্তি করে নিশ্চিত হয়ে থাকবেন।

শেষ কথাঃ তিতির মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

তিতির মুরগি কত দিনে ডিম দেয়, নতুন সম্ভাবনাময় একটি খামার হচ্ছে তিতির মুরগি পালন। আপনি এটিতে অল্প পুঁজিতে শুরু করে অনেক লাভজনক হতে পারবেন কারণ এ মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। এবং এই মুরগির ডিমের চাহিদা এবং মাংসের চাহিদা অনেক বেশি এবং এর মাংসতে এবং ডিমে অনেক পুষ্টি রয়েছে। এ মুরগি আপনি ঘরে বসেই পালন করতে পারেন আপনার ঘরের উঠান বা আগে নাই প্রথম অবস্থায় শুরু করতে পারেন।

যারা অল্প পুঁজিতে লাভজনক হতে চান তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার আইডিয়া। তারা চাইলে এটি পালন করতে পারেন এবং খুব তাড়াতাড়ি লাভজনক হতে পারেন। এবং এই মুরগি পালনের ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে ডিম দিয়ে থাকেন এবং ডিম থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। চলুন তাহলে উপরের আলোচনা থেকে জেনে নেই, কিভাবে তিতির মুরগি পালন করে মুরগি ডিম দেয় তিতির মুরগি কতদিনে ডিম দেয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url