ভারতে দাঁত পড়লে কি করে
ভারতে দাঁত পড়লে কি করে এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। ভারতে দাঁতের সাথে মানুষজনের ধর্মীয় বিশ্বাস জড়িত রয়েছে। দাঁত পড়াকে অনেক সময় তারা শুভ এবং অশুভ মনে করে থাকে। ভারত একটি অনেক বড় দেশ হওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে
দাঁত পড়া নিয়ে বিভিন্ন রকম সংস্কৃতির প্রচলন রয়ে গেছে। গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে শহরের মানুষ পর্যন্ত এই রীতিনীতি প্রচলিত আছে। এর কারণ হলো পূর্ববর্তীদের রেখে যাওয়া সংস্কৃতি অথবা ধর্মীয় বিশ্বাস। এই সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আজকে আর্টিকেলে বিস্তর আলোচনা হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ ভারতে দাঁত পড়লে কি করে
ভারতে দাঁত পড়লে কি করে
ভারতে দাঁত পড়লে কি করে, মানুষের জীবনে দাঁত পড়া একটি খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া শিশু থেকে বড় কালে
পদার্পণ করার সময় প্রতিটি মানুষেরই দাঁত পড়ে। একটি মানুষের বয়স বাড়ার
প্রাথমিক ধাপ হলো দাঁত পড়া। এখন আমরা জানবো ভারত এ দাঁত পড়লে কি করে।
অর্থাৎ সেখানকার মানুষের দাঁত পড়ার পর সেটির উপর ভিত্তি করে কি করে সেই রীতিনীতি
সম্পর্কে। ভারতে বিভিন্ন রকম মানুষ বসবাস করে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বসবাস করে। তাই স্বাভাবিকভাবে দাঁত পড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও তাদের কাছে এটি কোন
স্বাভাবিক নয় বরং আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়।
ছোট বাচ্চার দাঁত পড়লে ভারতের সংস্কৃতি অনুসারে কেউ দাঁত ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে।
কেউবা সেটি মাটিতে পুঁতে ফেলে কেউ আবার ইঁদুরের জন্য অপেক্ষা করে। কেউ পানিতে
ফেলে দেয়। কেউ আবার সৃষ্টিকর্তার জন্য সেটি নিয়ে প্রার্থনা করে। নানা বৈচিত্রের
মাঝেই ভারতের এই মানুষদের সংস্কৃতির সাথে মিশে গেছে দাঁত পড়ার বিষয়টি। এমন
মানুষ আছে যারা ছোট বাচ্চার দাঁত পড়লে মিষ্টি বিতরণ করে। তাই বলা যায় ভারতের
মানুষের কাছে দাঁত পড়ার শুধু স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয় বরং এটি তাদের আবেগ
বিশ্বাস এবং চেতনার সাথে সম্পর্কিত বিষয়।
আকাশের দিকে ছুড়ে ফেলা
ভারতে এমন কিছু অঞ্চল আছে যেগুলোতে আকাশের দিকে দাঁত ছুড়ে ফেলার প্রচলন রয়েছে।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দিকে এই প্রচলনটি পরিলক্ষিত হয়। গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট
বাচ্চারা এরকম সংস্কৃতি ধারণ করে থাকে। তারা বিশ্বাস করে যে যদি দাঁতটিকে আকাশের
দিকে নিক্ষেপ করা হয় তাহলে পরবর্তীতে দুধদাত ওঠার পর যে দাঁত উঠবে সেটি সোজা এবং
শক্ত হয়ে বের হবে। বিশেষ করে এইটি পালন করা হয় যখন নিজের দাঁত উঠে তখন। দাঁত
উপরে নিক্ষেপ করার সময় তারা ছড়া বা কবিতা বলে।
চিল পাখি চিল নিয়ে যাও দাঁতটা, দাও একটা নতুন দাঁত সোজা ও চকচকে। এই ধরনের মন্ত্র
বা কবিতা অথবা ছড়া তারা দাঁতটি নিক্ষেপ করার সময় মুখে মুখে উচ্চারণ করে। ছোট
বাচ্চারা এই বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে উৎসবমুখর পরিবেশ মনে করে উপভোগ করে। কারণ
বিষয়টা ছোটদের জন্য বেশ আনন্দদায়ক মনে হয়। দাঁতটি নিক্ষেপের পর তারা আকাশের
দিকে তাকায় এবং আশায় থাকে সত্যিই কেউ দাঁতটি নিয়ে যাবে এবং এর পরিবর্তে নতুন
কোন শক্ত মজবুত চকচকে দাঁত তাদেরকে দিয়ে যাবে।
মাটিতে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে
ভারতের অনেক জায়গায় এমন সংস্কৃতি প্রচলিত আছে যে শিশুদের দাঁত পড়ে গেলে তারা
সেটি মাটিতে পুঁতে রাখে। বিশেষ করে উত্তর ভারত, মহারাষ্ট্র সহ ভারতের বেশ কিছু
অঞ্চলে এই রীতিনীতি পরিচালিত আছে। তারা মনে করে দাঁতটি পুঁতে ফেলার মাধ্যমে
প্রকৃতির কাছে সেই দাঁতটি জামানত হিসেবে জমা দেওয়া হয় এর পরিবর্তে প্রকৃতি
তাদেরকে নতুন, শক্ত, মজবুত চকচকে দাত দান করবে। অর্থাৎ পরবর্তীতে যে দাঁতটি উঠবে
সেটি সোজাভাবে উঠবে এবং সেটি শক্ত ও মজবুত হবে। এটি তাদের সাংস্কৃতিক বিশ্বাস।
আরও পড়ুনঃ
বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও মুক্তির উপায়
মাটিকে তারা মনে করে সৃষ্টির উৎস এবং পুনর্জন্মনের স্থান। অর্থাৎ তাদের এই
বিশ্বাসের পেছনে প্রতীকই একটি ধারণা রয়েছে। তারা মনে করে দাঁতটি যেহেতু পুরাতন
সেটিকে মাটিতে যদি পুঁতে দেওয়া হয় তাহলে মাটি থেকে দাঁতের শুভ সূচনা শুরু হবে
অর্থাৎ নতুন যে দাঁতটি আসবে সেটি তাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। অনেকে দাঁতটি পুঁতে
দেওয়ার আগে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করে থাকে এবং নানা রকম কবিতা অথবা
মন্ত্র বলে থাকে। যেমন বলে থাকে, মা ধরিত্রী গ্রহণ করো এই দাঁত, নতুন দাঁত দাও সোজা
ও শান্ত।
ইঁদুরের কাছে উৎসর্গ করে
ইঁদুরের কাছে নিজের দাঁতটি উৎসর্গ করার ধারণাটি বেশ পুরনো এবং এটি শিশুদের
স্বপ্নকে যেন রঙিন করে তোলে। ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে এই সংস্কৃতির প্রচলন এবং
প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়। ছোট বাচ্চা তার দুধ দাঁতটি ছোট কাগজে করে অথবা সরাসরি
ইঁদুরের গর্তে রেখে আসে অথবা এমন কোন স্থানে রেখে আসে যেখানে ইঁদুরের যাওয়া আসা
রয়েছে। দাঁতটি ফেলে আসার সময় বলে আমার দাঁতটি তুমি নাও তোমার দাঁতটি আমাকে দাও।
এটি অনেক রোমাঞ্চকর এবং বাচ্চা সুলভ আচরণ।
তারা ইঁদুরকে দাঁতের দেবতা বলে মনে করে। তারা মনে করে ইঁদুর কে দাঁত দিলে এবং
তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাদের দাঁতটি শক্ত এবং সোজা হয়ে বেরোবে। এখানেও তারা
বিভিন্ন ধরনের কবিতা এবং মন্ত্র উচ্চারণ করে থাকে। তারা বলে থাকে ইঁদুর ভাই ইঁদুর
ভাই, এই দাঁতটি নাও তুমি, নতুন দাঁত দিও আমায় সোজা চকচকে এক জুটি। পুরো পরিবেশটিকে
শিশুদের জন্য একটি আনন্দদায়ক মুহূর্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়। তারাই মুহূর্তগুলোকে
অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করে থাকে।
সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করে
ভারতের অনেক পরিবারের কাছে দাঁত পড়া শারীরিক পরিবর্তনই শুধু নয় বরং এটি
আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় চেতনার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। দাঁত ওঠার সময়
সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করা হয় যেন নতুন দাঁতটি সোজা এবং শক্তভাবে ওঠে।
বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে এই রীতিটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে পালন করতে দেখা যায়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে এটি এভাবে পালিত হয় যে নতুন দাঁত ওঠার আগে যে
দাঁতটি পড়ে যায় সেটি পবিত্র কাপড়ে মোড়ে তাদের প্রার্থনাগারে দেব দেবীর কাছে
রাখা হয়।
মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা দাঁত পড়লে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেন এবং
মোনাজাতে দোয়া করেন যেন নতুন দাতটি সোজা শক্ত ও ভালোভাবে উঠে। খ্রিস্টান
ধর্মাবলম্বীর মানুষেরাও তাদের সৃষ্টিকর্তা যাকে মানে তার কাছে প্রার্থনা করে
থাকে। এভাবে প্রতিটি ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা নিজ নিজ সৃষ্টিকর্তার কাছে ভিন্ন
ভিন্ন উপায়ে প্রার্থনা করে থাকে। এ প্রার্থনাটি বাহ্যিকভাবে দেখে মনে হতে পারে
ধর্মীয় আচার কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি পরিবারের আত্মিক পরিচয় বহন করে।ভারতে
দাঁত পড়লে কি করে তার পরিচয় এটি।
মিষ্টি খাওয়ানোর মাধ্যমে
ভারতের অনেক দেশে এটি প্রচলিত আছে যে দুধদাঁত যদি পড়ে যায় তাহলে তারা
মিষ্টি মুখ করায়। এটি তাদের কাছে অনেকটা উৎসব মুখর পরিবেশের মত। এটি শুধু
উৎসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং এটিকে ধর্মীয় রীতি অথবা সাংস্কৃতিক রীতির
মধ্যে পরিগণিত করা হয়। যেদিন শিশুর দাঁত পড়ে সেই দিন অথবা তার পরের দিন
সেই শিশুটিকে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খাওয়ানো হয়। তাকে আদর করা হয় এবং
সেই দিনে তাকে বিশেষ মনে করা হয়। এই কারণে তার ভেতরে আত্মবিশ্বাস বেড়ে
যায় এবং তার নতুন জীবনে পদার্পণ মধুর হয়।
আরও পড়ুনঃ
ওজন কমাতে গ্রিনটি খাওয়ার নিয়ম
মিষ্টি খাওয়ানোর উৎসবটি যখন পালন করা হয় তখন শিশুটির মাঝে নতুন দাঁত পড়া নিয়ে
আতঙ্ক বা ভয় কাজ করে না। কারণ যখন নতুন দাঁত পড়বে তখন শিশুটি মনে করতে
পারে এটি অস্বাভাবিক কিছু এবং এর ফলে সে ভয় পেতে পারে। যখন এই রীতিনীতিটি
অনুসরণ করা হয় তখন সে আর ভয় পাবে না। এই রীতি নীতির একটি ভালো দিক এটি। এই
অনুষ্ঠানে অনেকেই শিশুটিকে নানা ধরনের উপহার দিয়ে থাকে। সবমিলিয়ে শিশুটির জন্য
আলাদা একটি আনন্দ কাজ করে। ভারতে দাঁত পড়লে এই উৎসবটি এভাবে পালিত হয়।
পুরোন দাঁত সংরক্ষণ করা
ভারতে দাঁত পড়লে সেই দাঁত টি সংরক্ষণ করার রীতিও দেখা যায়। দাঁত সংরক্ষণ করার এই
রীতিটি শুধু প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি ছোটবেলার স্মৃতি ও আবেগ
জনিত বিষয়। অনেকেই ছোটবেলার স্মৃতি ধারণ করার জন্য তার সংরক্ষণ করে রাখে। বাবা
মা ই সন্তানের পড়ে যাওয়া সেই দুধ দাঁত কাঁচের বোতল অথবা প্লাস্টিকের বোতলে করে
সংরক্ষণ করেন। এটি করেন তার সন্তানের ছোটবেলার স্মৃতি হিসেবে। অনেক সময় দাঁতের
সাথে প্রথম কাটা নখ প্রথম জামা ইত্যাদি একটি বাক্সে করে সংরক্ষণ করা হয়।
যখন সে শিশুটি বড় হয় তখন তাকে উপহার স্বরূপ এটি প্রদান করা হয়। এবং এর সাথে
লিখে রাখা হয় সেই তারিখ যেদিন তার প্রথম দাঁত পড়েছিল অথবা যেদিন প্রথম তার নখ
কেটেছিল অথবা যেদিন প্রথম সে জামা পরিধান করেছিল। অনেকে সেই দাঁতের সাথে ছোটবেলার
ছবি তুলে রাখে যখন দাঁত পড়ে যায় তখন। সেই ছবিটি দাঁতের সাথে সংরক্ষণ করে প্রেমে
বেঁধে রাখে। এটি যেমন তাদের সংস্কৃতির অংশ তেমনি এটি তাদের আবেগ জনিত ঘটনার
পরিচয় বহন করে। নানা রীতিনীতি ও বৈচিত্রের মাঝে দাঁত পড়ার এই বৈচিত্রটা
অসাধারণ।
বয়সের প্রতীক ধরা হয়
ভারতের অনেক মানুষের কাছে দাঁত পড়া শুধুমাত্র একটি শারীরিক পরিবর্তন নয় বরং এটি
বয়সের প্রতীক ও নির্ধারণ করে বলে মনে করে। অতএব দাঁত পড়া মানে হল সেই শিশুটি বড়
হচ্ছে তার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হচ্ছে এটির বহিঃপ্রকাশ। দাঁত পড়লে পরিবারের
সদস্য গন সেই বাচ্চাটিকে বলে তুমি এখন বড় হয়ে গেছ আর যখন এটি বলা হয় তখন সেই
বাচ্চাটির মনে গর্ব অনুভব হয় এবং সে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। তখন সে মনে মনে
ভাবে সে বড় হয়ে গেছে এবং মাঝে মাঝে অন্য একটি দাঁত ধরে নারা দিয়ে দেখে।
সে দেখে যে আরেকটি দাঁত কখন পড়বে তাহলে সে আরো বড় হবে। এভাবে নানা বাচ্চা
সুলভ আচরণের মধ্য দিয়ে দাঁত পড়ার উৎসবটি বা সংস্কৃতিটি পালিত হয়ে থাকে। অনেকে
শিশুকে দাঁত পড়ার কারণে নানা দায়িত্ব দিয়ে দেয়। যেমন আজ থেকে সে নিজের ব্যাগ
বই নিজেই গোছাবে। নিজের দাঁত নিজেই ব্রাশ করবে। এই ধরনের ছোট ছোট দায়িত্ব দিয়ে
তার বয়সের প্রতীক হিসেবে দাঁতকে ধরা হয় এবং বাচ্চাটিও এই ধরনের দায়িত্ব পেয়ে
খুশি হয় এবং সে নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস অনুভব করে।
গান ও কবিতা শেখানো হয়
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন দাঁত পড়লে বাচ্চাটিকে গান অথবা কবিতা অথবা বিভিন্ন
ছন্দ ও মন্ত্র শেখানো হয় কারণ তখন মনে করা হয় যে বাচ্চাটি বড় হয়ে গেছে। আর
এটি করার আরো একটি কারণ হলো বাচ্চাটি যাতে তার পরিবর্তনের কারণে অর্থাৎ শারীরিক
পরিবর্তনের কারণে ভয় না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়। এই গান ও কবিতা গুলো তৈরি
করা হয় দাঁত করা পড়া সম্পর্কিত কাল্পনিক গল্পের মাধ্যমে। যেটি সেই বাচ্চাটিকে
বেশ আনন্দ দেবে এর পাশাপাশি তাকে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী করে তুলবে।
অনেক সময় নানী দাদীরা নিজেরাই দাঁত পড়া নিয়ে নানা রকম গল্প নিজে থেকেই বানিয়ে
তার নাতি বা নাতনীতে শোনান যাতে তার কাছে বিষয়টি খুব স্বাভাবিক মনে হয় এবং সে
ভয় না পায় বরং তার কাছে যাতে এটা মনে হয় যে সে আস্তে আস্তে বড় হওয়া শুরু
করেছে। যেহেতু সে বড় হওয়া শুরু করেছে কাজেই তাকে নানা রকম দায়িত্ব নেওয়া শুরু
করতে হবে। এছাড়া বিদ্যালয়ে তাদেরকে শেখানো হয় কিভাবে দাঁত পরিষ্কার রাখা হবে।
দাঁত থাকার গুরুত্বটা কতটুকু এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিদ্যালয়ে আলোচনা করা
হয়।
মন্তব্যঃ ভারতে দাঁত পড়লে কি করে
ভারতে দাঁত পড়লে কি করে সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে। ভারত যেহেতু একটি বিশাল রাষ্ট্র এবং এর জনসংখ্যা এবং ধর্মীয়
বিভাজন চিন্তা করলেও অনেক ধর্মের মানুষ এই দেশে বসবাস করে তাই ভিন্ন ভিন্ন
পদ্ধতিতে দাঁত পড়লে ভিন্ন ভিন্ন উপায় অনুসরণ করা হয়ে থাকে। কেউবা
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে। কেউ নানান রকম আচার অনুষ্ঠান ও নিজেদের
সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে দাঁত পড়ার বিষয়টি ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে পালন করে
থাকে। এটি একটি দেশের বৈচিত্র্যতা বয়ে আনে।
অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের কাছে এটি স্বাভাবিক মনে হলেও ভারতের মানুষের কাছে
এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মনে হলেও ভারতের মানুষের কাছে এটি সাংস্কৃতিক ও
ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। কেউ বা নতুন দাঁত পড়লে সেটি আকাশের দিকে
নিক্ষেপ করে, কেউবা মাটিতে পুঁতে রাখে আবার কেউ ইঁদুরের কাছে সেটি গচ্ছিত রাখে।
আবার অনেকে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনার মাধ্যমে নতুন চকচকে শক্ত দাঁত চায়। সব
মিলিয়ে এ যেন এক জাতির একটি পরিচয়। আমাদের কনটেন্ট গুলো নিয়মিত পড়ার
মাধ্যমে নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানুন।250510
protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url