নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান
নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান, পিরিয়ড বা মাসিক একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া, যা প্রত্যেক নারী জীবনে হয়ে থাকে। এ সময় শারীরিক কিছু পরিবর্তন আসে এবং কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময়ে কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়, যা প্রত্যেক
নারীর জন্য আলাদা হতে পারে। কিছু সমস্যাহল পেটব্যথা, মেজাজ পরিবর্তন, ক্লান্তি, স্তনে ব্যথা, মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ব্রণ, ডায়রিয়া, ফোলা ভাব, অনিদ্রা, উদ্বেগ ইত্যাদি। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় এই সমাধান করা সম্ভব। আজকের এই আর্টিকেলের আমরা জানবো পিরিয়ড সম্পর্কে।সূচিপত্রঃ নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান
- নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান
- কিভাবে বুঝবেন আপনার পিরিয়ড আসছে
- PMS কতক্ষণ স্থায়ী হয়
- অনিয়মিত মাসিকে ঘরোয়া সমাধান
- দীর্ঘায়িত পিরিয়ডের কারণ
- পিরিয়ড হলে কি ওষুধ খেতে হবে
- পিরিয়ড কত দিন থাকা ভালো
- শীতকালে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়
- পিরিয়ড চলাকালীন কোমর ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
- শেষ কথাঃ নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান
নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান
নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড হলে মহিলাদের জীবনে এমন একটি পর্যায়ে যেখানে এন্ডোমেট্রিয়াম (জরায়ুর আস্তরণ) ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এ অবস্থায় মহিলাদের যোনিপদ দিয়ে নির্গত জড়াই থেকে রক্তপাত হয় পিরিয়ড সাধারণত বয়স সন্ধির সময় ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে শুরু হয় এবং ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে মন পথ পর্যন্ত চলতে থাকে অনেক মেয়ে এবং মহিলার পিরিয়ডের সময় পেট ফাঁপা কোমরে ব্যথা ক্লান্তি বা অস্বস্তি হয় কিন্তু কিছু লোকের ব্যথা এত তীব্বো হয় যে তারা প্রতি মাসে কাজ বা স্কুলে যেতে পারে না অন্যরা এত বেশি রক্তপাত অনুভব করে যে এটি তাদের ক্লান্ত করে তোলে এই বিষয়গুলো আরো বড় সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে পিরিয়ড জনিত সমস্যা গুলির মধ্যে কয়েকটি হলঃ
১.পিরিয়ডকালীন ব্যথাঃ তলপেটে তীব্র ব্যথা, যা মাসিক শুরু হওয়ার আগে বা চলাকালীনই হতে পারে।
২.অনিয়মিত পিরিয়ডঃ মাসিক চক্রে অনিয়মিত হওয়া বা মাসিক না হওয়া।
৩.অতিরিক্ত রক্তপাত বা ভারী রক্তপাতঃ পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তপাত হওয়া
৪.পিরিয়ড পূর্ববর্তী সিনড্রোম(PMS): পিরিয়ডের আগে মেজাজ পরিবর্তন, ক্লান্তি, স্তনে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেওয়া।
ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। নিচে কিছু ঘরোয়া সমাধান দেওয়া হলঃ
১.গরম সেঁকঃ পিরিয়ড চলাকালীন সময় পেটে বা কোমরে গরম জলে ব্যাগ বা গরম জলের বোতল ধরে রাখলে আরাম পাওয়া যায় এটি মাংসপেশি রিলাক্স করতে সাহায্য করে এবং ব্যথা কমাতে পারে।
২.হালকা ব্যায়ামঃ হালকা ব্যায়াম যেমনঃ যোগ ব্যায়াম স্ট্রেচিং করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ব্যথার উপশম হতে পারে। তবে ভারী ব্যায়াম করা উচিত নয়।
৩.পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ পিরিয়ড চলাকালীন সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত পরিশ্রম বা কাজ করা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
৪.স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরী। ফল, সবজি, শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ সবুজ শাকসবজি, মটর শুটির, ডিম, মাংস, কচুর শাক ইত্যাদি গ্রহণ করা ভালো।
আরও পরুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
৫.পর্যাপ্ত পানি পানঃ শরীরের জলের অভাব হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত। এতে করে পিরিয়ডজনিত সমস্যায় অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
৬.ভেষজ চা পানঃ পুদিনা চা, আদা চা বা কেমোমাইল চা পান করলে আরাম লাগতে পারে। এই চা গুলি রক্তচাপ প্রবাহ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
৭.মানসিক চাপ কমানোঃ মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে। মানসিক চাপ পিরিয়ডের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৮.ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল পরিহারঃ পিরিয়ড চলাকালীন সময় কেফিন এবং অ্যালকোহল পিরিয়ডের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই এ সময় এগুলি এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো।
৯.চিকিৎসকের পরামর্শঃ যদি পিরিয়ডের সমস্যা গুরুতর হয় বা ঘরোয়া উপায় সমাধান না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই ঘরোয়া উপায় গুলি পিরিয়ড জনিত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে, তবে সবার জন্য একই রকম কাজ নাও হতে পারে। যদি কোন সমস্যা গুরুতর হয় বা ঘরোয়া উপায় সমাধান না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসাকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কিভাবে বুঝবেন আপনার পিরিয়ড আসছে
আপনার শরীর মাসিকের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে এটি বিভিন্ন শারীরিক বৃত্তির এবং হরমোনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় যা একাধিক উপায়ে প্রকাশ করতে পারে এখানে পিরিয়ড আসার বা কাছে আসার কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছেঃ
স্তনে কোমলতা বা ফোলাভাবঃ অনেক মহিলারই তাদের মাসিক শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে স্তনের কোমলতা, ফোলাভাব বা ভারি হওয়া এবং স্তনবৃত্তে ব্যথা অনুভব করেন। এগুলো মাসিক চক্রের সময় হরমোনের ওঠানামার কারণে ঘটে।
ফোলা ভাব এবং পেটের ক্র্যাম্পসঃ আপনার শরীর যখন জরায়ু আস্তরণ বের করার জন্য প্রস্তুত হয়। আপনার অনুভব করতে পারেন পেট ফাঁপা, তলপেটে ভারি হওয়ার অনুভূতি। ব্যক্তির উপর নির্ভর করে এই ক্র্যাম্পগুলি হালকা, মাঝারি বা গুরুতর হতে পারে।
আরও পরুনঃ বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও মুক্তির উপায়
মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনঃ হরমোনের মাত্রায় ওঠানামা মহিলাদের মাথাব্যথা বা মাইরেন কে ট্রিগার করতে পারে। যা তাদের মাসিক খনি নিয়ে আসার লক্ষণ হতে পারে।
ক্ষুধার পরিবর্তনঃ কিছু মহিলাদের নির্দিষ্ট খাবারের জন্য তৃষ্ণা অনুভব হতে পারে, যেমনঃ মিষ্টি বা নুনতা খাবার। অন্যদের পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে ক্ষুধা কমে যেতে পারে।
হজমের সমস্যাঃ হজমে সমস্যা আসন্ন মাসিকের অন্যতম লক্ষণ হরমোনি পরিবর্তন গুলি পরিপাকতন্ত্র দিয়ে প্রভাবিত করতে পারে যার ফলে কিছু মহিলাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য ডায়রিয়া বা ফলা ভাব দেখা দেয়।
PMS কতক্ষণ স্থায়ী হয়
প্রপ্রিমেনস্টরুয়াল(PMS) ঋতুস্রাব আসার উপসর্গগুলি কে বোঝায়। শারীরিক মনস্তান্ত্রিক এবং মানসিক প্রকাশ যা একজন মহিলার মাসিক শুরু হওয়ার দিন বা সপ্তাহ গুলিতে ঘটে। পি এম এস এর সময়কাল মহিলাদের মধ্যে পরিবর্তন হতে পারে। তবে এটি সাধারণত মাসিকের রক্তপাত শুরু হওয়ার কয়েকদিন থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়। বেশিরভাগ মহিলাদের পিরিয়ড শুরু হলে তার কিছু পরে কমতে শুরু করে। যাই হোক কিছু মহিলাদের মাসিক কয়েকদিনের জন্য দীর্ঘস্থায় লক্ষণ গুলি অনুভব করতে পারে।
অনিয়মিত মাসিকের ঘরোয়া সমাধান
একজন সুস্থ এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীর মাসিক নিয়মিত থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে সব নারী মাসিক চক্র এক রকম হয় না। কারো ২৮ কারো ৩০ কিংবা আরো বেশিদিন চক্র থাকে। সুস্থ নারী ক্ষেত্রে এই চক্র একই রকম থাকে। এমন অনেক নারী রয়েছে যারা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন। অনিমিত মাসিকের সমস্যায় ভুগলে সবার আগে নজর দিতে হবে জীবন যাপনের ধরনের দিকে। আপনি কি সত্যি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছেন? প্রয়োজনীয় খাবার, ঘুম, শারীরিক ব্যায়াম শরীরচর্চা হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক সময় কাজে খুব বেশি চাপ, ওজন কমে যাওয়া, মানসিক চাপ,ওভারিতে কোন সমস্যা, অতিরিক্ত শরীর চর্চা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি কারণে মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। সেইসঙ্গে মেনে চলতে পারেন নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধানঃ
১.নিয়মিত শরীর চর্চা করাঃ আমাদের শরীর-স্বজনরা খাজুর ভিতরে নিয়মিত শরীর চর্চা করেন সেসব নারী ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দেয় না কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম রয়েছে সবচেয়ে ভালো হয় বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিয়ে তা শুরু করা তাই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হলে ঘরোয়া সমাধান বেছে নিন।
২.টক জাতীয় খাবার খাওয়াঃ অনিমিত মাসিক যদি আপনি নিয়মিত করতে চান তাহলে অতিরিক্ত টক জাতীয় খাবার খেতে পারেন। যেমনঃ জলপাই, আনারস, তেঁতুল, মালটা ইত্যাদি ফল খেলে তা আপনার মাসিক চক্র ঠিক রাখতে কাজ করবে।
৩.আদা খাওয়াঃ আমাদের জন্য উপকারিতা তার মধ্যে একটি হলো অনিমিত মাসিক নিয়মিত করতে বেশ কার্যকরী। সেজন্য প্রচুর পরিমাণ আদা পানি খেলে বেশ উপকার পাবেন।
৪.স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনঃ সুস্থ থাকতে চাইলে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে বিকল্প নেই। মাসিক চক্র নিয়মিত রাখতে এটি জরুরী। তাই পরিচ্ছন্ন থাকুন, সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খান। পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক প্রক্রিয়াকলম জরুরী। মাসিক টানা তিন মাস বন্ধ থাকলে বা বছরের ৯ বারের কম হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ থাকা সন্তান ধরনের পূর্বাভাস হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে যে কোন সমাধান বেছে নেওয়ার আগে নিশ্চিত হন যে আপনি গর্ভবতী কিনা।
দীর্ঘায়িত পিরিয়ডের কারণ
দীর্ঘস্থায়ী পিরিয়ড মেমোরিজিয়া নামে পরিচিত এটি মাসিক ব্যাধি। যা মাসিকের সময় অস্বাভাবিকভাবে ভারী বা দীর্ঘায়িত রক্তপাত দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। যা হওয়ার মনের ভারসাম্যহীনতা থেকে শুরু করে আন্তনীত চিকিৎসা অথবা অবস্থা পর্যন্ত হতে পারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেঃ
আরও পরুনঃ খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা
১.জরায়ু ফাইব্রয়েডঃ জরায়ুতে ক্যান্সার বৃত্তির কারণে ভারী এবং দীর্ঘস্থায়ী মাসিক রক্তপাত হতে পারে। ফাইব্রয়েডের আকার এবং অবস্থার লক্ষ্য গুলি তীব্রতা কে প্রভাবিত করতে পারে।
২.অ্যান্ডোমেট্রিয়ামঃ এই অবস্থাটি ঘটে যখন জরায়ুর টিস্যু জরায়ুর পেশী বহুলের দেয়ালে বৃদ্ধি পায়। এটি ভারী এবং বেদনাদায় পিরিয়ড হতে পারে।
৩.থাইরয়েডের কর্মহীনতাঃ অত্যাধিক থাইরয়েড জনিত সমস্যার কারণে মাসিক চক্রকে ব্যাহত করতে পারে এবং অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে।
পিরিয়ড হলে কি ওষুধ খেতে হবে
পিরিয়ড হলে সাধারণ ব্যথানাশক ঔষধ যেমন নাপা, ন্যাপ্রোক্সেন,আইবুপ্রোফেন, অ্যাডডভিল, মোটরিন আইবি এবং গরম পানির সেঁক ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া বিশ্রাম নেয়া এবং হালকা ব্যায়াম করাও সাহায্য করতে পারে। যদি ব্যথা অনেক বেশি হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পিরিয়ড কতদিন থাকা ভালো
একটি স্বাভাবিক মাসিক সাধারণত তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। তবে এটি ব্যক্তিভেদে পরিবর্তন হতে পারে এবং ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে যেকোনো সময় হতে পারে। যদি আপনার পিরিয়ড ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা ২১ দিনের কম অথবা ৩৫ দিনের বেশি পরপর হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। একটি সাধারণ পিরিয়ডের সময় কাল সাধারণত ২৮ দিন ধরা হয়। তবে এটি ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে যেকোনো সময় হতে পারে। যদি আপনার পিরিয়ড নিয়মিতভাবে এই সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে তবে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়।
শীতকালে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়
শীতকাল এমন এক সময় এ সময় যেকোনো ব্যাথায় মানুষের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয় না। শীতকালে সব ব্যথায় অসহ্য লাগে। এ সময় যদি পিরিয়ড হয়ে থাকে তাহলে এই সময়ে অনেক অস্বস্তিতে কাটে। সপ্তাহ জুড়ে পিরিয়ডের সময় অনেক ব্যাথা থাকে। এই সময়টা তাদের জন্য অনেক কঠিন। ঋতুচক্রের সময় প্রতিটি মেয়ের শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ দেখা দেয়। এ সময় যাদের বেশি ব্যথা হয়। নারীদের পিরিয়ড জনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান হলোঃ
- মাছ, টকদই, ছোলা, আদার রস , কলা , রসুন , ডার্ক চকলেট , চুল পরিমাণে পানি এবং সবুজ পাতাযুক্ত সবজি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে খাদ্য তালিকায় এই ধরনের খাবার খেতে হবে।
- তলপেটে অতিরিক্ত যন্ত্রণা হলে কোমরে হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে সেক দিতে হবে তাহলে কিছুটা ব্যথা হ্রাস পাবে।
- পিরিয়ড চলাকালীন সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না এ সময় উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করলে কিছুটা ব্যাথা হ্রাস পাবে।
- ১০-১৫ মিনিট ধরে তলপেটে ল্যাভেন্ডার তেল মাসাজ করতে হবে।
- পিরিয়ড চলাকালীন সময় বেশি দৌড়াদৌড়ি না করে ওই সময় বিশ্রাম নিন।
পিরিয়ড চলাকালীন কোমর ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
পিরিয়ডের সময় কম বেশি সব মেয়েদেরই কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। আর শীতকালে ব্যথার প্রবণতা টা অনেক বেড়ে যায়। এ সময় কোমরে ব্যথা হলে দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকতেও অনেক কষ্ট হয়। এ সময় অনেক মেয়েই বাড়ি থেকে বের হতে পারে না। পিরিয়ড চলাকালীন কোমর ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় পেতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে তাহলেঃ আদার রস, ফাস্টফুডকে না বলুন , পেটে গরম পানির সেক, প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এই সময় এইসব নিয়ম মত চললে আপনি পিরিয়ড চলাকালীন সময় কোমর ব্যথা থেকে কিছুটা মুক্তি পাবেন। আর যদি ব্যথা না ভালো হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথাঃ নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান
নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও ঘরোয়া সমাধান, নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা নতুন কিছুনা এটা কম বেশি সব মেয়েদের হয়ে থাকে। এর জন্য কিছু ঘরোয়া সমাধান উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাধমে আপনি সহজেই পিরিয়ডজনিত সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন পিরিয়ডের সমস্যা যদি গুরুতর হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আশা করি আপনারা উপরের টিপস গুলি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন, নারীদের পিরিয়ডজনিত সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে, আমাদের আর্টিকেলের সাথে থাকার অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 250510
protipsbangla নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url